বছরে ৬০০০০ টাকা! স্কলারশিপ নিয়ে বড় ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, খুশিতে লাফাচ্ছে পড়ুয়ারা

সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government Of West Bengal) তরফে একের পর এক প্রকল্প ও অন্যান্য ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্প এনে রাজ্যের কোটি কোটি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিকে সরকারের বহু ব্যবস্থার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে ছোট থেকে বড়, বয়স্ক সকলেই।

তেমনই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে বেশ কিছু স্কলারশিপ (Scholarship) চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হল স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Merit Cum Means Scholarship)। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে এই স্কলারশিপ নিয়েই এবার বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল মমতা সরকার, যা শুনে একপ্রকার সকলেই চমকে গিয়েছেন।

   

এই স্কলারশিপ মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, মুসলিম, পার্সি, শিখ ধর্মের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। এটি একাদশ শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। এই স্কলারশিপের আওতায় পড়ুয়াদের বাৎসরিক ১২০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়। এদিকে এই স্কলারশিপ নিয়েই বড় ঘোষণা করল মমতা সরকার। জানা যাচ্ছে, এবার এই খাতে ১৫০০ কোটি টাকা খরচ করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

নবান্ন সূত্রে খবর, এই বছর স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ দু’টি বিভাগে প্রদান করা হচ্ছে। নতুন করে আবেদন এবং পুনর্নবীকরণ, এই দুটি বিভাগে আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে।  General Degree College, Polytechnic, Medical, Engineering বিভাগের পড়ুয়াদের পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন।  রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের অভিমত, কয়েকদিনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফল প্রকাশ হবে। তারপরেই স্কলারশিপের জন্য আবেদনের হিড়িক পড়বে।

students

এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে গেলে আগে শেষ পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। এতে করে দুঃস্থ, মেধাবী পড়ুয়া বঞ্চিত হচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।  তবে এবার পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা জানলে খুশি হবেন, বছর দুই আগেই সেই যোগ্যতা মান কমিয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। আবেদনকারীর সংখ্যা ৩ থেকে ৫ লক্ষের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই। এখন এই সংখ্যা ৮ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর