ভোটের আগেই চমক! ফের এতটা বাড়ছে DA, কপাল খুলছে সরকারি কর্মীদের! হয়ে গেল কনফার্ম

কবে বাড়বে ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness allowance)? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী (Central Government Employee) থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা (Employee)। তবে শোনা যাচ্ছে, আর বেশিদিন নয়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা (Pensioner) খুব তাড়াতাড়ি সুখবর পেতে চলেছেন।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা ‘DA’ এবং অবসরপ্রাপ্তদের মহার্ঘ ত্রাণ বা যাকে বলে ‘ডিআর’ (Dearness Relief) ভাতা, এক ধাক্কায় চার শতাংশ বাড়ানো হবে। বর্তমানে DA/DR ৪৬ শতাংশ হারে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় কর্মীদের। যদিও আগামী মাসের মধ্যে এই ভাতা আরও ৪ শতাংশ বাড়বে। নিয়ম হল, মহার্ঘ ভাতার হার পঞ্চাশ শতাংশ পেরোলেই সরকারকে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।

   

ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ স্টাফ সাইডস (জেসিএম) সদস্য এবং অল ইন্ডিয়া ডিফেন্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের (এআইডিইএফ) সাধারণ সম্পাদক সি শ্রীকুমার বলেছেন, “কর্মীদের বর্তমান ডিএ-র হার ৪৬ শতাংশ। এই হার ৫০ শতাংশ হলেই অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পেশ করা হবে। সম্ভবত লোকসভা নির্বাচনের আগেই অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করবে সরকার।” ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের জন্য অল ইন্ডিয়া সিপিআই-আইডব্লিউ-এর রিপোর্ট ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের শ্রম ব্যুরো প্রকাশ করেছে। শিল্প শ্রমিকদের জন্য ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই-আইডাব্লু) ছিল ১৩৮.৮ পয়েন্ট।

ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের শ্রম ব্যুরো দ্বারা প্রকাশিত ডিসেম্বর ২০২৩ এর জন্য অল ইন্ডিয়া সিপিআই-আইডাব্লু ০.৩ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। শিল্প শ্রমিকদের জন্য উপভোক্তা মূল্য সূচক ১৩৮.৮ পয়েন্ট স্তরে সংকলিত হয়। এক বছর আগে ০.১৫ শতাংশ সংকোচনের তুলনায় সূচকটি আগের মাসের তুলনায় ০.২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ শ্রম ব্যুরো সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ৮৮টি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প কেন্দ্রের ৩১৭টি বাজার থেকে খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে প্রতি মাসে শিল্প শ্রমিকদের জন্য মূল্য সূচক সংকলন করে। সূচকটি ৮৮ টি শিল্প কেন্দ্র এবং সর্বভারতীয় কেন্দ্রের জন্য সংকলিত হয়েছে। পরের মাসের শেষ কর্মদিবসে এই সংকলনটি প্রকাশিত হয়।

modi money

সূচকের পতন মূলত খাদ্য ও পানীয় গ্রুপের দ্বারা অবদান রেখেছিল, যা সামগ্রিক পরিবর্তনকে ০.৪৫ শতাংশ পয়েন্ট প্রভাবিত করেছিল। চাল, মুরগির মাংস, সরিষার তেল, আপেল, কলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, গাজর, ফ্রেঞ্চ শিম, সবুজ ধনে, আদা, পেঁয়াজ, আলু, টমেটো, মটরশুঁটি, মুলা ও দেশীয় বিদ্যুতের দাম কমেছে। বরং মূলত গম, মহিষের দুধ, তাজা মাছ, বেগুন, ড্রামস্টিক, রসুন, ঢেঁড়স, সাদা চিনি, রেডি খাবার, তামাক পাতা, তৈরি পান, রেডিমেড ট্রাউজার প্যান্ট, চামড়ার স্যান্ডেল/চপ্পল, বৈদ্যুতিক ব্যাটারি, এমপ্লয়িজ স্টেট ইন্স্যুরেন্স কন্ট্রিবিউশন, টুথপেস্ট/টুথপাউডার, অটোরিকশা/স্কুটার ভাড়া ও বাস ভাড়া ইত্যাদি সূচক কমার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। কেন্দ্রের স্তরে কোয়েম্বাটুরে সর্বোচ্চ ৪.৭ পয়েন্ট এবং লুধিয়ানায় ৩.২ পয়েন্ট কমেছে। অন্য ছয়টি কেন্দ্রে ২ থেকে ২.৯, ১৮টি কেন্দ্রে ১ থেকে ১.৯ এবং ৩৩টি কেন্দ্রে ১ থেকে ১.৯এ।

বিগত ৭ বছর ধরে সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ায় সাবলীল। লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা।

সম্পর্কিত খবর