কলকাতাঃ গত ১৮ আগস্ট কলকাতা যুবভারতী স্টেডিয়ামে ছিল মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচ। এটা ডুরান্ড কাপের প্রথম ডার্বি ছিল। কিন্তু কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য সরকার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ওই ডার্বি বাতিল করে দেয়। এরপর দুই দলের সমর্থকরা একই দিনে, একই সময় একই জায়গায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন। আসলে ডার্বি ম্যাচে আরজি করের খুন, ধর্ষণ কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করেছিল ময়দানের দুই প্রতিপক্ষ। ঘটি, বাঙালের সমস্ত সমর্থকরা কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে সেদিন প্রতিবাদ করবে বলে জানিয়েছিলেন। আর তার আগেই নিরাপত্তার অজুহাতে ম্যাচই বাতিল করে দেওয়া হয়।
শুধু ম্যাচ বাতিলই নয়, ডুরান্ড কাপের বাকি ম্যাচগুলোও ভিন রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পরে ক্লাব বৈঠক এবং ক্লাব কর্তাদের আবেদনের পর ডুরান্ড কাপের একটি সেমিফাইনাল কলকাতায় পড়েছে। আজ ২৭ তারিখ যুবভারতীতে মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরুর ম্যাচ হতে চলেছে। আর এই ম্যাচের আগেই ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল পুলিশের তরফে।
জয়েন্ট কমিশনার বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে ডুরান্ড কমিটিকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কোনরকম টিফো, ড্রাম এবং স্মোক ক্যান্ডেল নিয়ে মাঠে প্রবেশ নিষেধ। মূলত আজকের ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালেও আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানোর লক্ষ্যেই রয়েছেন মেরিনার্স সমর্থকরা। এমনকি এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আরজি করের কাণ্ডের প্রতিবাদ করার লক্ষ্যে রয়েছেন। তবে, সেই আশায় জল ঢেলে মাঠে বড়সড় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল পুলিশের তরফে।