প্রীতি পোদ্দারঃ বাঙালির কাছে এককথায় বর্ষা মনে ইলিশ মাছ এবং খিচুড়ি। কিন্তু ইলিশ আর কই। মৎস্যজীবীদের জালে একদমই উঠছে না ইলিশের। তাইতো এ বছর ভরা বর্ষার মরশুমে সেভাবে ইলিশ জালে না ওঠার কারণে চিন্তিত মৎস্যজীবীরা। কিন্তু এর মাঝেই ঘটল এক বিরাট চমক। এক পিস মাছের দাম দাঁড়াল ৭ লাখ টাকা।
৭ লক্ষ টাকা এক পিস মাছের দাম!
গত শুক্রবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের কক্সবাজারে ভোরবেলায় মহেশখালী হোয়ানক এলাকার এফবি মোহাম্মদ আনোয়ার মেম্বারের ফিশিং ট্রলারে ধরা পড়েছিল ৩০ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি কালা পোপা মাছ। আট জন মাঝি সাগরে প্রথম জাল ফেলতেই এই বিশাল আকারের মাছটি ধরা পরে। পরে সকাল ১০ টা নাগাদ মাছটিকে আনা হয় বাজারে। কয়েকজন ব্যবসায়ী চার লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকেন এই মাছের। ট্রলারের মালিক মহম্মদ আনোয়ার দাম চেয়েছেন ৭ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম বলেন।
কী বলছেন মাঝি মাহবুব আলম?
ট্রলারের মাঝি মাহবুব আলম জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিচিং ট্রলার ও মাঝিমাল্লারা সাগরে মাছ ধরতে যেতে না পেরে অলস জীবন কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু এই মনখারাপের মাঝেই আমরা আটজন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে গিয়ে প্রথম জাল ফেলতেই কপাল খুলে গেল। জাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি পেয়ে আমরা বেশ খুশি হয়েছি।” স্থানীয় লোকজনের কাছে এই মাছটি কালা পোপা নামে পরিচিত হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি। এই মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা আছে। এই মাছ কারোর জালে পড়া মানে তার ভাগ্য খুলে যাওয়া।
প্রসঙ্গত, এর আগে দীঘার সমুদ্রেও এক বিশাল আকারের তেলিয়া ভোলা মাছ ধরা পরেছিল। যার ওজন ছিল ১৮ কেজি। এছাড়াও কয়েক বছর আগে ওড়িশার সমুদ্রে ৬টি তেলিয়া ভোলা মাছ ধরা পড়েছিল। সেগুলির ওজন ছিল মোট ৭১ কেজি। এবং এই তেলিয়া ভোলাগুলি ১৭ হাজার টাকা কিলো দরে মোট ১২ লক্ষ ৭ হাজার টাকায় কিনে নেয় মৎস ব্যবসায়ীরা। যদিও সেপ্টেম্বর শেষের মুখে এলেও এখনও মাছের আড়তে সেভাবে দেখা মেলেনি ইলিশের। যার কারণে বেশ চিন্তিত মৎস্যজীবীরা।