মাঠে ফলছে সোনার ফসল, মাস গেলেই পকেটে ঢুকছে ২.৫ লাখ টাকা! চাষ করেই রাজা অরুণ

Indiahood Desk

মাঠে ফলছে সোনার ফসল, মাস গেলেই পকেটে ঢুকছে ২.৫ লাখ টাকা! চাষ করেই রাজা অরুণ

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে আজকাল অনেক যুবক ও যুবতী বিভিন্ন শাখায় পড়াশুনা করে শিক্ষিত হয়ে উঠছেন। অনেকেই আবার উচ্চ শিক্ষাও অর্জন করছেন। তবে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ যুবক ও যুবতীই সরকারি চাকরি করার লক্ষ্যমাত্রা নেন। তবে এখন অনেকেই সরকারি চাকরির আশা ছেড়ে দিয়েছেন। পরিবর্তে তাঁরা নিজেদের স্টার্টআপ বা ব্যবসা শুরু করে ভালো রোজগার করছেন।

বিহার রাজ্যের এক যুবক এভাবেই পথ দেখাচ্ছেন দেশের যুব সমাজকে। বিহারের ডুমরা ব্লকের ভাসার গ্রামের অরুণ কুমার আজ সবজির চাষাবাদ করেই মালামাল হয়েছেন। অরুণ বলেন, বাইরে গিয়ে অন্যের জন্য সারাদিন কাজ করে মাসিক বেতন পাওয়ার থেকে বাড়িতে বসে সবজি চাষ করা ভালো। কারণ অরুণ ইতিমধ্যে সবজি চাষ করে এতটা বেশি রোজগার করে থাকেন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনা।

সবজি চাষ করেই মাসে ২.৫ লাখ টাকা রোজগার

   

বিহারের তরুণ কৃষক অরুণ জানান, প্রতি মৌসুমে তিনি সবজি চাষ করেন। কুমড়ো, করলা, বেগুন, শসা, বিটরুট, ক্যাপসিকাম এবং অন্যান্য সবজি চাষ করা হয় তাঁর জমিতে। বর্তমানে অরুণের জমিতে কুমড়ো ও করলার চাষ হচ্ছে। দুটি সবজিই এক একর জমিতে লাগিয়েছেন তিনি। দুটি সবজিরই ভালো ফলন হয়েছে। এসব সবজি বিক্রি করে প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা আয় হয় বলে জানান অরুণ। অর্থাৎ, সেই হিসেবে প্রতি মাসে প্রায় ২.৫ লাখ টাকা রোজগার করছেন এই কৃষক।

জৈব সারের ব্যবহারে ফলছে সোনার ফসল

অরুনের এই চাষের সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল তিনি সবজিতে জৈব সার ব্যবহার করেন। কোনও সবজি গাছে তিনি রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না বলেই জানান। এমনকি অরুণ অন্যান্য কৃষকদেরও সবজি চাষে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, এতে সবজির ফলন যেমন ভালো হয়, তেমনই সবজি দেখতে প্রাকৃতিক হয়। এর ফলে বিক্রি বাড়ে বলে দাবি করেন বিহারের এই কৃষক।

বাইরে গিয়ে শ্রমিকের কাজের থেকে চাষাবাদ ভালো, বলেন অরুণ

অরুণের মতে, বিদেশে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করার চেয়ে সবজি চাষ করা ভালো। অরুণ এই বিষয়ে বলেন, “আমরা অন্যদের বিদেশে না গিয়ে নিজের জমিতে সবজি চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছি।” তাঁর দাবি, স্থানীয় পর্যায়ে যদি একজন শ্রমিক কাজ পায়, তাহলে তাকে তাঁকে নূন্যতম ৮ ঘন্টা ডিউটি ​​করতে হবে। এর পরিবর্তে ফিনি প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা বেতন পাবেন। অরুণের মতে, শুধুমাত্র সবজি চাষের মাধ্যমে তার সংসার চালানোর পাশাপাশি তিনি ১০ জন শ্রমিককে কাজ দিয়েছেন এবং তার সংসারও চলছে এই চাষের মাধ্যমে।