বন্ধ 'জুম্মা'র নামাজ! শুক্রবার মিলবে না অতিরিক্ত বিরতি, অসম বিধানসভায় পাশ বিল

Indiahood Desk

বন্ধ ‘জুম্মা’র নামাজ! শুক্রবার মিলবে না অতিরিক্ত বিরতি, অসম বিধানসভায় পাশ বিল

গুয়াহাটিঃ ইসলাম ধর্মে সপ্তাহের শুক্রবার দিনটিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। এই দিনটিকে ‘জুম্মা’ বলা হয়। ‘জুম্মা’ শব্দটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘সমাবেশ’। ইসলামে ‘জুম্মা’ অর্থাৎ, শুক্রবারকে সবচেয়ে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। এই দিনে মুসলমানরা দুপুরের সময় জুম্মা নামাজ আদায় করেন, যা সপ্তাহের অন্যান্য দিনের নামাজের থেকে বিশেষ ও আলাদা। কারণ, এই দিনে মসজিদে বিশেষ খুতবা বা ধর্মীয় বাণী প্রদান করা হয়, এবং মুসলিম সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করে।

আর এবার এই ‘জুম্মা’ সম্পর্কিত একটি ঐতিহাসিক বিল পাশ হয়েছে দেশের এক বিধানসভায়। সম্প্রতি, অসম বিধানসভায় একটি বিল পাস হয়েছে, যার মাধ্যমে বিধানসভায় ‘জুম্মা’র নামাজের জন্য নির্ধারিত সময় বরাদ্দ থাকার প্রথা বিলুপ্ত করা হয়েছে। ব্রিটিশ কাল থেকে এই প্রথা চলে আসছে অসমে। তবে ২০২৪-এ এসে সেই প্রথম বন্ধ হল। এবার থেকে শুক্রবার স্বাভাবিকভাবেই সারাদিন কাজ চলবে অসম বিধানসভায়। নামাজের জন্য অতিরিক্ত কোনো বিরতি থাকছে না।

অসমে কেন এই বিল পাশ হল?

   

ব্রিটিশ আমলে থেকেই অসম বিধানসভায় সপ্তাহের শুক্রবার দিনটিতে ‘জুম্মা’র নামাজের জন্য প্রায় আধ ঘণ্টার বিরতি বরাদ্দ করা হত। এই বিরতি মুসলিম বিধায়কদের জন্য নির্ধারিত ছিল। যাতে তাঁরা জুম্মার নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে, সম্প্রতি এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা এবং বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীদলগুলো দাবি করে যে এই প্রথা ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী এবং বিধানসভার কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে।

পাশ হয়ে গেল ঐতিহাসিক ‘জুম্মা’ বিল

এই বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চর্চা চলছে অসমে। শেষমেষ বিরোধী দলগুলির সম্মতি এবং সাধারণ জনগণের মতামত বিবেচনা করে অসম সরকার একটি বিল পেশ করে। এই বিলে বিধানসভায় জুম্মার নামাজের জন্য সময় বরাদ্দ বাতিল করার প্রস্তাব রাখা হয়। এরপর বিলটি পাস হয়ে যায় অসম বিধানসভায়। এর মাধ্যমে ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা এই নিয়মের অবলুপ্তি ঘটে।

সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হল বিলটি

বিলটি পাস হওয়ার পর বিধায়ক বিশ্বজিৎ ফুকন বলেন, “দেশের কোনও রাজ্যেই এমন ব্যবস্থা নেই। অবশেষে, অসম বিধানসভা এই ব্যবস্থাও বাতিল করে যা সৈয়দ সাদুলহের সময় থেকে চলে আসছিল। বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমি বিধানসভার স্পিকারকে ধন্যবাদ জানাই। নমাজের বিরতি বন্ধ করতে বিধানসভা বিধিমালার বিধি-১১ সংশোধন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে কেউ আপত্তি করেনি।”