যত সময় এগোচ্ছে ততই আরজি কর-কাণ্ডে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠছে। আগস্ট মাসের ৯ তারিখে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে মহিলা চিকিৎসকের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে উঠে আসে, চিকিৎসককে ধর্ষণ ও পরে খুন করা হয়েছে। এরপর থেকেই বাংলা তথা গোটা দেশ প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। বাদ যায় না রাজনৈতিক দলগুলিও। কিন্তু এবার আরজি কর ইস্যুতে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী যা বললেন তা শুনে তাজ্জব সকলে।
বেফাঁস মন্তব্য অধীর রঞ্জনের
বিগত কিছু সময় ধরেই বাম, কংগ্রেস, বিজেপি আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তবে যত দিন এগোচ্ছে ততই এই বিক্ষোভের মাত্রাও যেন হু হু করে বাড়ছে। অন্যদিকে গতকাল শনিবার আরজি কর ইস্যুতে প্রথমে আরজি কর মেডিকেল এবং পরে পানিহাটিতে তিলোত্তমার বাড়িতে হাজির হন অধীর রঞ্জন। তিনি জানান, ‘আমরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। আজও তাই হয়েছি। আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে।’ এরপরেই আসল বোমাটা ফাটান তিনি। অধীর বলেন, নির্যাতিতার বাবা-মাকে হাউজ অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
তিলোত্তমার বাবা-মাকে হাউজ অ্যারেস্ট!
প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বাবা-মাকে “গৃহবন্দি” করার অভিযোগ করেছেন। শনিবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অধীর চৌধুরী দাবি করেন, পুলিশ তাঁদের বাড়ি থেকে বেরোতে বাধা দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, মৃতদেহ দাহ করার জন্য নির্যাতিতার বাবাকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব নাকি দেওয়া হয়েছিল। অধীর রঞ্জন পুলিশকে তাদের কাজের জন্য তিরস্কার করেন এবং বলেন যে তারা পরিবারটিকে ঘিরে একটি ব্যারিকেড তৈরি করেছে। আর সম্পর্কে সিআইএসএফ কিছুই জানেন না।
শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চৌধুরী বলেন, ‘আমি মৃত চিকিৎসকের পরিবারকে দেখতে গিয়েছিলাম এবং তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি। নানা অজুহাতে তাঁদের বাড়ি থেকে বেরোতে না দিয়ে কার্যত তাঁদের গৃহবন্দি করে রেখেছে পুলিশ। তাঁদের বাড়ির চারপাশে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে এবং সিআইএসএফ এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত নয় বলে মনে হচ্ছে।’