শ্বেতা মিত্রঃ ফের একবার শিরোনামে উঠে এল বাংলাদেশ। দু’দিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়েরই কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এই ঘটনা চাউর হতেই বর্তমানে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ তথা বিশ্বজুড়ে। এরপরেই ইউনিভার্সিটি চত্ত্বরে রাজনীতি করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
বিতর্কে জড়াল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক ও সাপোর্ট স্টাফদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সিন্ডিকেট সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ওই সদস্যদের একজন বলেন, ‘জরুরি সিন্ডিকেট সভার একমাত্র এজেন্ডা ছিল ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা। আলোচনা শেষে আমরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভেতরে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ছেলেধরা সন্দেহে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচ পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম তোফাজ্জল হোসেন। ধৃতরা হল শাখা ছাত্রলীগের প্রাক্তন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ (২৫), মৃত্তিকা, জল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়াঁ (২১), পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন (২৪), গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ (২৪) ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।