প্রীতি পোদ্দার: আরজি কর আন্দোলন কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যের প্রশাসন ব্যবস্থাকে। আন্দোলনের রূপ এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে যে রাজ্যকে ছাপিয়ে গোটা দেশ ও বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। রাস্তায় রাস্তায় মিছিলে যোগ দিয়েছে সাধারণ মানুষ। এমনকি স্বাস্থ্য ভবনের সামনে রীতিমত ঝড়, বৃষ্টির মধ্যেই ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেও বৈঠকে গিয়েছেন তাঁরা। আর এই আবহেই শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীরা সাধারণ মানুষের কর্মকাণ্ড নিয়ে রীতিমত নানা অপ্রীতিকর মন্তব্য করেই চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের মুখ খুলতে বারণ করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই নানাভাবে আন্দোলনকারীদের কুমন্তব্যের মাধ্যমে আবদ্ধ করে চলেছেন শাসকদলের নেতারা। কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে দেবাংশু কেউই বাদ নেই। আর এই আবহেই ফের জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
কী বলছেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বর্ধমানের জেলাশাসকের দফতরে জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকের আয়োজন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকুল্লা। তিনি বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনারা রাজনীতির লোক নন। আর যদি রাজনীতি করতে হয়, তা হলে ডাক্তারি ছেড়ে দিন।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছেন, তিনিও বিচার এবং ফাঁসি চান। আসলে কোথায় থামতে হয়, এঁরা জানেন না। সুপ্রিম কোর্টে বড় বড় আইনজীবীদের দাঁড় করাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এত টাকা কোথা থেকে পাচ্ছেন? তাঁরা ক’টা টাকা মাইনে পান? আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, এর পিছনে কোনো রাজনৈতিক শক্তি আছে।”
এদিন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে রীতিমত ভণ্ডামি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “পদোন্নতির সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস হয়? যাঁরা এমন দ্বিচারিতা করছেন, তাঁদের অনেক বড় অন্যায় হচ্ছে। বাংলার মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। ” পাশাপাশি মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলা সংগঠনের সভানেত্রী সাগরিকা সরকার আন্দোলনকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তাঁর দাবি, ‘মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে রাস্তায় নামিয়েছে বাম ও বিজেপি’।