‘বাংলাদেশের বন্যায় যাদবপুরের বিপ্লবীদের ত্রাণ দান, মালদার বেলায় হাওয়া’, পাশে দাঁড়াল বাংলা পক্ষ

Koushik Dutta

Published on:

'বাংলাদেশের বন্যায় যাদবপুরের বিপ্লবীদের ত্রাণ দান, মালদার বেলায় হাওয়া', পাশে দাঁড়াল বাংলা পক্ষ

শ্বেতা মিত্রঃ বৃষ্টির দাপট কমলেও বন্যার জলে রীতিমতো বানভাসি অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। বিগত কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের বহু জায়গার অবস্থা সঙ্গিন হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে বহু ঘর বাড়ি, রাস্তাঘাট ভেঙে পড়েছে। পাঞ্চেত, মাইথন বাঁধ থেকে রেকর্ড পরিমাণে জল ছাড়ার জেরে বানভাসি অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC) ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে এই বন্যা পরিস্থিতি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় থেকে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু আবার কিছু জায়গায় এই ত্রাণ না দেওয়া নিয়ে এবার গর্জে উঠলেন বাংলা পক্ষ-র গর্গ চট্টোপাধ্যায়।

গর্জে উঠলেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল। সেই সময়ে যাদবপুর থেকে বাংলাদেশের বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে একই জিনিস কেন করা হচ্ছে না, তা নিয়ে রীতিমতো ফুঁসে উঠলেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে বন্যার সময়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠানোর ডাক দিয়েছিল যাদবপুরের কিছু বিপ্লবী। এখন ওরা হাওয়া। এদিকে বন্যা ত্রাণে মালদায় ৩ বার টিম পাঠিয়েছে বাংলা পক্ষ।’ 

For Experts Recommendation Join Now

গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের সরকার অপদার্থ তাই সেখানে এদেশের পড়ুয়ারা ত্রাণ পাঠিয়েছে। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আচ্ছা এরাজ্যের সরকারও কি তাহলে ফেইলিওর?? সাধারণ মানুষকে ত্রাণ পাঠাতেই বা হবে কেনো? সে যাদবপুর হোক বা কালীঘাট বা অন্য কোনও জায়গা থেকে?’ অন্য আরেকজন লেখেন, যাদবপুর এর বিপ্লবীরা এখন জুনিয়র বাবুদের বিরিয়ানি বিতরণ নিয়ে ব্যাস্ত।

কী বলছে ডিভিসি?

বুধবার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত দু’দিনে ছেড়ে দেওয়া জল এখন প্রথম ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে পৌঁছে যাওয়ায় আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ডিভিসি-র মাইথন বাঁধের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অঞ্জনি কে দুবে জানিয়েছেন, ডিভিসি রাতারাতি ২.১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। তবে উজানে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় আজ সকাল থেকে পাঞ্চেত ও মাইথন বাঁধ থেকে নিষ্কাশন ক্রমশ কমছে। বুধবার সকাল ৮.৩০ মিনিটে মুক্তির পরিমাণ ছিল ১.৭ লক্ষ কিউসেক এবং তারপরে সকাল ১০.৪৫ এ এটি ছিল ১.৪ লক্ষ কিউসেক।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন

Share This ➥
X