প্রীতি পোদ্দার: শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে যে খানিক চির পড়েছে তা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করলেই বুঝতে পারা যায়। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যখন ভারতের ইলিশ সমঝোতা হয়েছিল সেখানে তখন বলা হয়েছিল যে প্রতি বছরে ভারতকে ৫ হাজার টন ইলিশ দিতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও বছরই ওই পরিমাণ ইলিশ নেয়নি ভারত। আর এই আবহেই এবার পেঁয়াজ আমদানি এবং রপ্তানি নিয়ে বড় আপডেট সামনে এল। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নিন বিস্তারিত।
পেঁয়াজ রপ্তানি করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের!
জানা গিয়েছে, ভারত বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতি টন পিছু দাম ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি ৪০ শতাংশ হারে রপ্তানি শুল্কও চাপানো হয়েছিল। ভোটের আগে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তবে এবার সেই সিদ্ধান্তে আমূল পরিবর্তন আনা হল। সূত্রের খবর, ভারত সরকার, বাংলাদেশ দিনাজপুরের হিলি বর্ডার থেকে ২০ শতাংশ শুল্কায়নের পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে দিয়েছে।
চলতি বছর ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে বিদেশে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে এনেছে। শুধু তাই নয় রপ্তানি মূল্য টন প্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ মার্কিন ডলার কমিয়ে ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এদিকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করলেও ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি নতুন ভাবে সংযুক্ত না হওয়ায় গত দুই দিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।
চারটি ট্রাকে করে পেঁয়াজ পাঠাল ভারত!
অবশেষে টানা তিনদিন পর দিনাজপুরের হিলি বর্ডার দিয়ে ভারত থেকে ২০ শতাংশ শুল্কায়নের পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছে বাংলাদেশে। এবং চারটি ট্রাকে করে ১২৩ টন পেঁয়াজ পাঠানো হয়েছে ওপার বাংলায়। বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স শওকত ট্রেডার্স, মেসার্স সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বি কে ট্রেডার্স নামের ৩টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করেছে।
যদিও ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে বেশ লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। হাসিনা সরকার বদলের পর বাংলাদেশের জনগণের একাংশ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিলেও, বাস্তবে ভারতীয় পেঁয়াজের ঝাঁজ পছন্দ বাংলাদেশিদের। কিন্তু এর বদলে বাংলাদেশ সরকার পুজোর আগে ইলিশ পাঠাতে একদমই রাজি নয়।