প্রীতি পোদ্দার: বাংলা ক্যালেন্ডার এর পাতায় সবে ভাদ্র ছেড়ে এবার আশ্বিনে প্রবেশ বাঙালির। আর আশ্বিন মাস মানেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েক দিন। এদিকে গত সপ্তাহে নিম্নচাপের দাপটে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে দুর্যোগের কালো মেঘ। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া এবং একনাগারে তুমুল বৃষ্টি। অবস্থা এতটাই শোচনীয় হয়ে উঠেছে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই পুজোর বাজারও বিশেষ জমে উঠতে পারেনি একদিন।
দুর্যোগের কালো মেঘ কেটে মায়ের আগমন!
কারণ টানা বৃষ্টির কারণে পুজোর বাজারে বিকিকিনি খানিক মার খেয়েছিল। তবে গত সোমবার দুপুর থেকে দুর্যোগের কালো মেঘ কেটে অবশেষে নীল আকাশে ফের দেখা মিলেছে শরতের সাদা মেঘের। আগামী কয়েকদিন গোটা রাজ্যেই আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফলত, দুর্গাপুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। কারণ হাতে আর এখন বেশি সময় নেই। কিন্তু আনন্দের মাঝেও মনে প্রশ্ন জাগছে এবারের পুজোয় কি অসুর হতে পারে বৃষ্টি? নাকি শরতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশেই সবাই মেতে উঠতে পারবে মা দুর্গার আরাধনায়? কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর?
পুজোয় এবার বৃষ্টি অসুর!
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমা সূত্রের খবর, পুজোর মুখে নাকি ফের ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মহালয়ার আগে অথবা পরে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যার জেরে আগামী ২ অক্টোবর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের কিছু জায়গায় অল্প সময়ের জন্য মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে পরের দিন আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু তাতে বেশ সুখময় হবে না পরিস্থিতি। কারণ বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাস্প থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম থাকবে। কিন্তু রাতের দিকে আবহাওয়া খানিকটা কম এবং নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গে একটানা নিম্নচাপজনিত ভারী বৃষ্টির কারণে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভরাডুবি অবস্থা। বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, আরামবাগ, ঘাটাল প্রভৃতি জেলাগুলিতে এখনও জল নামেনি গ্রামগুলিতে। বহু মানুষ এখনো ঘর ছাড়া। এদিকে ডিভিসি থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।