প্রীতি পোদ্দার: গত কয়েক মাস ধরেই শাক সবজির দাম বেড়েই চলেছে দেশ জুড়ে। মরসুমি আনাজের পাশাপাশি এক অপরকে টেক্কা দিয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজ, রসুনের মতো মশলা জাতীয় আনাজের দাম। তার উপর একনাগারে বৃষ্টিতে রীতিমত চাষের অবস্থা বেহাল। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জেলায় হাট-বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা প্রতি কেজিতে। এমনকি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে। এই আবহে মাথায় হাত আনাজ কারবারিদের। তবে এবার খানিক স্বস্তির সংবাদ দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সাফল্য অর্জন কেন্দ্রীয় সরকারের
সূত্রের খবর, দেশজুড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দাম কমাতে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোদি সরকার এখন দিল্লি, কলকাতা, পটনা, রাঁচি, ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি সহ অনেক বড় শহরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। যার ফলে খুচরো বাজারে এর দাম কমেছে। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকিযুক্ত পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করার কারণে, দিল্লিতে খুচরো পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৫ টাকা কমে হয়েছে ৫৫ টাকা। মুম্বইতে আবার ৫ টাকা কমে হয়েছে ৫৬ টাকা। অন্যদিকে চেন্নাইয়ে খুচরো পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৭ টাকা কমে হয়েছে ৫৮ টাকা।
বিতরণ চ্যানেলগুলির মাধ্যমে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত!
জানা গিয়েছে, পেঁয়াজের বাড়তে থাকা চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার ভর্তুকিযুক্ত পেঁয়াজের পরিমাণ আরও বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই নাকি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, কেন্দ্রীয় ভান্ডার আউটলেট এবং মাদার ডেইরির স্টোরগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিতরণ চ্যানেলগুলি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আপাতত সরকার এনসিসিএফ এবং নাফেডের মোবাইল ভ্যান এবং আউটলেটের মাধ্যমে বিক্রি করছে পেঁয়াজ। আশা করা যাচ্ছে যে এই বছর খরিফ বপনের এলাকা আরও বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয় গত বছরের তুলনায় ৪.৭ লক্ষ টন পেঁয়াজের বাফার স্টকও রয়েছে। তাই আগামী মাসগুলোতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে সকলকে আশ্বাস দিয়েছে সরকার।