শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ উৎসবের মরসুমে ফের একবার জোরদার ধাক্কা খেলেন সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ। নতুন করে দাম বাড়ল ভোজ্য তেলের। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এমনিতে রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, শাক সবজির দাম উর্ধ্বমুখী হয়েই রয়েছে। এগুলি কিনতে গিয়েই রীতিমতো কালঘাম ছুটে যাচ্ছে সকলের। তবে এবার গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সমান হল ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি।
দাম বাড়ল রান্নার তেলের
সামনেই রয়েছে দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো রয়েছে। অর্থাৎ ঢালাও উৎসবের মরসুম। তবে হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে নতুন করে। কেন্দ্রীয় সরকার অপরিশোধিত তেলের আমদানি শুল্ক শূন্য থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ এবং ভোজ্য তেলের উপর ১২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩২.৫ শতাংশ করেছে। যার কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সয়া থেকে পাম, সরষে, রিফাইন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৫ থেকে ১৬ টাকা বাড়িয়েছে। যদিও আগামী দিনে এই দাম আরও খানিকটা বাড়তে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎসবের মরশুমে ভোজ্যতেল ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে বড় ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে বিক্রি করে বড় মুনাফা করছেন। অন্যদিকে চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সঞ্জয় সিংহানিয়া বলছেন, আসন্ন উৎসবের মরশুম এবং উৎসবের কথা মাথায় রেখে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে মানুষের পকেটে।
দাম বাড়ল ২৫ টাকা অবধি
রান্নার তেলের দাম হঠাৎ করে কেজিতে ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া পাম তেল ও সূর্যমুখী তেলের দাম বেড়েছে। কেন্দ্র বিদেশি আমদানিতে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পরে শনিবার থেকে বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে। ১৫ কেজি ক্যানের সূর্যমুখী তেলের দাম শুক্রবার পর্যন্ত ছিল ১৭৩০ টাকা, কিন্তু শনিবার ভোর নাগাদ তা ২০০০ টাকায় পৌঁছেছে। এক কেজি প্যাকেটের দাম ১০৮ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫ টাকা হয়েছে।
গত সপ্তাহ অবধি ৮৫০ গ্রাম পাম তেলের একটি প্যাকেট ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই দাম বেড়েছে। দুইদিনেরও কম সময়ে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। সাধারণ মানুষের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে ২৫ টাকা বেড়েছে।