প্রীতি পোদ্দার: নানা জল্পনার পর অবশেষে ২০২২ সালে টুইটার কিনে নিয়েছিলেন টেসলা কর্ণধার তথা টেক-বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক। তার পর থেকেই ফিচার-সহ নানা বিষয়ে বদলের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। এর মাঝে অনেক টানাপোড়েন সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। রাজনৈতিক পোস্ট হোক কিংবা বিনোদন জগৎ সব কিছুতেই তাঁর নাম জড়িয়েছিল। কিন্তু জানেন কি বিশ্বের এত বড় ধনকুবেরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা সম্পর্কে? সম্পূর্ণটা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
প্রতি বছর কত খরচ করতে হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায়?
টেসলার সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে টেসলা সিইও তথা টেক-বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক এর নিরাপত্তা জনিত খরচ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ২০২৩ সালে, কোম্পানি ইলন মাস্কের নিরাপত্তার জন্য খরচ করেছে প্রায় ২.৪ মিলিয়ন ডলার। যেটা ভারতীয় মূল্যে প্রায় ২০ কোটি টাকারও বেশি। এছাড়াও চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের প্রথম দুই মাসে মাস্কের নিরাপত্তার জন্য ৫ লাখ ডলার খরচ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও ২০১৫ এবং ২০১৮ সালের নিরাপত্তা খরচও প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে নিরাপত্তা ব্যয় ছিল ১.৪ মিলিয়ন ডলার। যদিও বা তিনি প্রথম থেকেই তাঁর নিরাপত্তার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে থাকেন।
কতজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন?
প্রসঙ্গত, এর আগে টেসলা সিইও ইলন মাস্ক নিজের নিরাপত্তার জন্য এত কড়াকড়ি রাখেননি। মাত্র ২ জন নিরাপত্তারক্ষী রেখেছিলেন তিনি। তবে বিগত কয়েক বছরে অনেক হুমকি যুক্ত ইমেল তিনি পেয়েছেন যা অত্যন্ত উদ্বেগে ফেলেছেন তাঁকে। তাই বাধ্য হয়েই এত কোটি টাকা খরচ করে ২০ জন বিশেষ নিরাপত্তা রক্ষীকে তিনি রেখেছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ইলন মাস্কের এই নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে চিকিৎসকরাও রয়েছেন। জরুরী অবস্থায় যাতে কোনো বিপদ ঘটে গেলে এনারাই তাঁর চিকিৎসা পরিষেবা দেবে।
তবে শুধু ইলন মাস্ক নয়, বিশ্বের অন্যতম ধনকুবেররা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য অনেক টাকা খরচ করে থাকেন প্রতি বছর। ২০২৩ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড সিইও টিম কুককে নিরাপত্তার জন্য ৮.২ মিলিয়ন খরচ করতে হয়েছিল। পাশাপাশি আমাজনের জেফ বেজোসের নিরাপত্তার জন্য ১.৬ মিলিয়ন খরচ করতে হয়। এবং মেটার বিখ্যাত মার্ক জুকারবার্গের নিরাপত্তার জন্য ২৩.৪ মিলিয়ন ব্যয় করতে হয়।