ডায়মন্ড হারবার, প্রীতি পোদ্দার: আলিপুর আবহাওয়া দফতর এর তরফ থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে মৎস্যজীবীরা যেন সময়ের আগেই সমুদ্র থেকে ফেরৎ চলে আসে। কারণ বড় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখা গিয়েছে। সেই অনুযায়ী দুর্যোগের সতর্কবার্তা পেয়ে ঘরে ফেরার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে। কিন্তু এর মাঝেই ঘটে গেল ভয়ংকর বিপদ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে বাকিরা ফিরে আসলেও এখনও তিনটি ট্রলারের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ ৪৯ জন মৎস্যজীবী!
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবারই ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুর মৎস্যবন্দর থেকে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মৎসজীবীরা। গভীর সমুদ্রে পাড়ি জমিয়ে ছিল আরও অনেক ট্রলার। ফিরে আসার কথা রবিবার। সেই অনুযায়ী রবিবারের মধ্যে বাকিরা ফিরে এলেও এখনও ৪৯ জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের সন্ধান করার জন্য নৌকা এবং ট্রলারের সাহায্যে তল্লাশি শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকি আকাশপথে হেলিকপ্টার নিয়েও তল্লাশি চালানো হয়েছে।
মৎস্যজীবীদের খোঁজ না মেলায় উদ্বেগে পরিবারের লোকজন
জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার থেকে রওনা দেওয়া ‘মা রিয়া’, ‘শ্রী হরি’ নামের দু’টি ট্রলার-সহ মোট তিনটি ট্রলার ফেরার সময়ে বিকল হয়ে যায়। ট্রলারগুলির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রপেলার বা চাকা ঘোরার যন্ত্রও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। অন্য মৎস্যজীবীরা ওই ট্রলারগুলিকে টেনে আনার চেষ্টা করলেও প্রবল স্রোতের কাছে দিশেহারা হতে হয় তাঁদের। তারপরই উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানানো হয়। কিন্তু এদিকে মৎস্যজীবীদের খোঁজ না মেলায় উদ্বেগে রয়েছে তাঁদের পরিবারের লোকজন। কোনোরকম ভাবেই মিলছে না কোনো খবর।
প্রসঙ্গত, আজ সকালে সুলতানপুর মৎস্যবন্দর ও ওই ট্রলারগুলির মালিকের বাড়িতে ভিড় জমান নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যেরা। যত শীঘ্র সম্ভব নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের যাতে ফিরিয়ে আনা হয় তার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। এই আবহে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের দিকে ফিরছিলেন। কিন্তু সেই সময় ওয়্যারলেস মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়ে যায়।