প্রীতি পোদ্দার: গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি হয়েই চলেছে পশ্চিমের জেলাজুড়ে। এমনকি শনিবার সারারাত বৃষ্টির পরেও রবিবার সারাদিন ধরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে জেলায় জেলায়। থামার কোন লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না সোমেও। ফলস্বরূপ সময় যত গড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত নদীগুলির জল স্তর ততোই বেড়েছে। আশঙ্কায় ভুগছে স্থানীয় এলাকার মানুষেরা।
জলের তলায় সিমলাপালের শিলাবতী নদীর সেতু!
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিম্নচাপজনিত বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার প্রতিটি নদীতেই জলস্তর যেন ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। যার ফলে এই ঘটনার জেরে দক্ষিণ বাঁকুড়ায় শিলাবতী নদীর উপর একের পর এক সেতু জলের তলায় ডুবে যাচ্ছে। খবর সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল, বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর সিমলাপালের শিলাবতী নদীর সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করেছে। কিন্তু তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন সেখানকার স্থানীয় মানুষরা।
শুধু তাই নয় এই মুষলধারায় ভারী বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা বাঁকুড়ার পাওয়ার হাউস সংলগ্ন কংক্রিটের রাস্তার একাংশে ধস নেমেছে। এমনকি এর পাশ দিয়ে যাওয়া দক্ষিণ পূর্ব রেলপথের বাঁকুড়া-আদ্রা রেল লাইনও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। রাস্তার বেশ কয়েক জায়গায় চওড়া ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়াও দ্বারকেশ্বর নদীর উপর বাঁকুড়ার মিনাপুরের ভাষাপুল ও গন্ধেশ্বরী নদীর মানকানালী সেতু জলে ডুবে গিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার মধ্যে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রামের মধ্যে!
জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের কাঁথুয়া খালের জল মারাত্মক বৃষ্টিতে বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে তপসিয়া ও গোপীবল্লভপুরের মাঝে থাকা কজওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ঝাড়গ্রামের। অন্যদিকে বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের ভেলাইডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এঁটেলা এলাকার তারাফেনী নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছে। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে সাধারণের তরফ থেকে যে কোন এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে?