৫ বছরেই বিকল, ৪২ কোটি দিয়ে নির্মিত ব্রিজ ভাঙতে খরচ ৫২ কোটি! দুর্নীতির গন্ধ রাজ্যে

Koushik Dutta

Published on:

৫ বছরেই বিকল, ৪২ কোটি দিয়ে নির্মিত ব্রিজ ভাঙতে খরচ ৫২ কোটি! দুর্নীতির গন্ধ রাজ্যে

দেবপ্রসাদ মুখার্জী: ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই কোনো না কোনো নির্মীয়মান বা নবনির্মিত ব্রিজ ভেঙে পড়ার খবর সামনে আসে। কয়েকমাস আগেই বিহারে ব্রিজ ভেঙে নদীতে ভেসে যাওয়ার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছিল। আর এমন সব ঘটনায় প্রাণহানি হলেই প্রশ্ন ওঠে ব্রিজের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে।

তবে এবার ভেঙে পড়ার আগেই একটি দুর্বল সেতুকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার। এবার ঘটনাস্থল গুজরাট। গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরের হাটকেশ্বর ব্রিজটি ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার ঘোষণা করেছে আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন। আগের ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছিল যাতায়াত। তাই এবার আর বেশি বাজেটে এই সেতুটিকে পুনর্নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসক।

For Experts Recommendation Join Now

মাত্র ৫ বছরের মাথায় বন্ধ করতে হল কোটি টাকার ব্রিজ

গুজরাটের আহমেদাবাদের হাটকেশ্বর সেতুটি ২০১৭ সালে ৪২ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে এবার সেটিকে ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেতুটির নির্মাণের মাত্র ৫ বছরের মাথায় গুরুতর ফাটল ও কাঠামোগত দুর্বলতা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলির কারণে ২০২২ সালে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একটি স্থায়িত্ব পরীক্ষা করে সেতুটিকে নিরাপদ নয় বলে ঘোষণা করে এবং তা ভেঙে পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সেতু ভাঙার টাকা দিতে হবে নির্মাণকারী সংস্থাকে

আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান দেবাং দানি জানান যে, সেতুটি ভাঙার জন্য প্রায় ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা এর মূল নির্মাণ খরচের থেকেও বেশি। ভাঙার কাজের জন্য চতুর্থবারের মতো টেন্ডার আহ্বান করা হয় এবং অবশেষে রাজস্থানের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই কাজের দায়িত্ব নেয়।। তবে, এই ব্যয়ের একটি বড় অংশ সেই ঠিকাদারের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হবে যারা সেতুটির মূল নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন। কারণ কাঠামোগত ত্রুটির ঠিকাদার সংস্থাকেই দায়ী করা হচ্ছে।

দুর্নীতির কারণেই সেতুর এই পরিণতি?

আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের বিরোধী নেতা শেহজাদ খান পাঠান দাবি করেন যে দুর্নীতির কারণেই সেতুটির এই অবস্থা হয়েছে। তিনি এও দাবি করেন যে সেতুটি নির্মাণ থেকে রক্ষণাবেক্ষণ সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে ৯৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা সেতুটির নির্মাণকারী সংস্থা অজয় ইনফ্রা-র থেকে আদায় করা উচিত বলে দাবি করেন পাঠান।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন

Share This ➥
X