শ্বেতা মিত্রঃ দু’দিন হয়ে গেল রোদের দেখা নেই। রাত-দিন আকাশে মেঘের ঘনঘটা। একে রবিবার তার ওপর বৃষ্টি। ছুটির দিনে যথার্থ ছুটির আমেজ পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা অতিক্রম করলেই সোমবার। সোমবার মানেই ছুটতে হবে, স্কুল-কলেজ নতুবা অফিসে। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, বৃষ্টি কি কালকেও হবে?
আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস
বৃষ্টির স্থায়িত্বের ব্যাপারে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। যা সময়ের সঙ্গে শক্তি সঞ্চয় করে ক্রমাগত শক্তিশালী হয়েছে, নিন্মচাপ পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। সে কারণেই এই মেঘ, বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে যে বৃষ্টি হবে সে কথা আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল। উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টির বেগ তুলনামূলকভাবে বেশি। নিচু এলাকায় জল জমার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল। সতর্কতা জারি করা হয়েছিল মৎসজীবীদের জন্য। রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।
৫০ থেকে ৭০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া
৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানানো হয়েছিল। নিম্নচাপটি ক্রমে শক্তি ক্ষয় করছে। যার ফলে ধীরে ধীরে কমছে বৃষ্টির তীব্রতা। শনিবার যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল, রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা কম। রাতের দিকে বৃষ্টি হলেও সকাল থেকে বৃষ্টির মাত্রা কমেছে। সোমবার তীব্রতা আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী এক-দু’দিনে এটি ঝাড়খন্ড ও উত্তর ছত্তীসগঢ় এলাকায় পৌঁছে আরও শক্তি হারিয়ে দুর্বল হবে নিম্নচাপ।
রবিবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে। ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিহারেও ভালো বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।