ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সরব রাজ্য থেকে বিশ্ব। প্রতিবাদের একমাসেরও বেশি সময় পেরিয়েছে কিন্তু সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারল না CBI। এদিকে ঘটনার পর থেকেই সুবিচারের দাবিতে কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কয়েক দিন আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর এবার গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব-সহ ৩ স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদত্যাগ-সহ একাধিক দাবিতে স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। আর তাতেই ক্ষিপ্ত প্রশাসন।
গতকাল অর্থাৎ বুধবারই নবান্নে শিল্প সংক্রান্ত বৈঠক থেকে জুনিয়রদের এই কর্মবিরতি ডাক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ওরা কেন এত জেদ করছে? ওরা যা বলবে সব মানতে হবে?” এমনকি তিনি সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারও স্মরণ করিয়ে দেন। ইতিমধ্যে ২ বার রাজ্যের তরফে মেল করে জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ প্রতিনিধিকে মুখোমুখি বৈঠকে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তাঁদের তরফে পাল্টা মেল করে জানানো হয় ৩০ জন জুনিয়র ডাক্তারকে বৈঠকে রাখতে হবে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক দাবি। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এবং রাগের বসে প্রশাসন জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে দাগিয়ে দিচ্ছে।
জুনিয়রদের পাশে সিনিয়র চিকিৎসকরা
আর এই আবহেই এবার স্বাস্থ্যভবনের বাইরে ধর্না মঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ালেন সিনিয়র ডাক্তাররা। কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্য সরকারকে সিনিয়রদের তরফে জানানো হয়েছে যে, “যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেমে আসে, তাহলে আমরা বাধ্য হব কর্মবিরতির মতো কোনও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।” এছাড়াও তাঁদের দাবি “অবিলম্বে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সদর্থক ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। আমরা সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে সর্বদাই আছি।”
বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে সিনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন
এছাড়াও গতকাল জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং। কিন্তু প্রশাসন সেই লাইভ স্ট্রিমিং নিয়েও এড়িয়ে যাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে সিনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন যে “আমরা আশা করেছিলাম, দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে বৈঠকে বসতে রাজি হবেন। কিন্তু সেটা কেন হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রী এর আগে বহু বৈঠক করেছেন, যেখানে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা থেকেছে। কিন্তু আজ যখন জুনিয়র ডাক্তাররা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের আবদেন করছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন?”