বাঁকুড়াঃ চন্দনা বাউরি…বর্তমান সময়ে বাংলার এক হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু বিধায়ক হলে কি হবে, তাঁর জীবন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই। ২০২৪ সালের রাজ্য বিধানসভা ভোটে ছাপোষা একটি ঘরের মানুষ হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে আবার জিতে সকলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন এই চন্দনা বাউরি। তিনি এক সময়ে ঝুপড়ি বাড়িতে থেকেই জীবন সংগ্রাম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সংগ্রামে নেমে পড়েছিলেন। দিন মজুর শ্রমিকের স্ত্রী চন্দনা বাউরির জীবনে ওঠাপড়া যে এক সময়ে লেগেছিল এবং এখনও আছে তা তিনি বলতে দ্বিধাবোধ করেননি। তবে এখন আলোচনায় উঠে এসেছে বিধায়কের সম্পত্তির বিষয়। শুরু হয়েছে ফিসফাস।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন চন্দনা
চন্দনা বাউরি, যিনি বাঁকুড়ার শালতোরা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। একটি অচেনা মুখ হওয়া সত্ত্বেও, বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এবং বিরোধীদের নাস্তানাবুদ করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন৷ এক সময় তাঁর বাড়িতে পর্যাপ্ত পানীয় জল বা উপযুক্ত টয়লেট ব্যবস্থা অবধি ছিল না। প্রথমে মাটির ঘর তারপর একটু উন্নতি হয়ে ঝুপড়ি বাড়ি তৈরি করে বাস করছিলেন চন্দনা। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েও খরচ চালাতে তিনি মাঝে মাঝে স্বামীর সাথে দিনমজুরের কাজ করেছেন। কিন্তু এখন তাঁর পাকা বাড়ি হয়েছে। কিন্তু কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে ঝাঁ চকচকে বাড়ি তৈরি করে ফেললেন তা নিয়েও এখন যত মানুষের আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঝুপড়ি অতীত, পাকা বাড়িতে থাকেন চন্দনা
এখন আপনার মনেও নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে যে মাত্র ৩টে বছর আগেও যখন চন্দনা বাউরি ঝুপড়িতে বসবাস করছিলেন তখন এখন কীভাবে পাকা বাড়িতে থাকছেন। অনেকেই আছেন যারা কিনা চন্দনা বাউড়ির বর্তমান বাড়ি দেখে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই যে কথায় আছে না, কষ্ট করলেই কেষ্ট মেলে। এক্ষেত্রেও তাই। ২০২০ সালে চন্দনা বাউড়ি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের বাড়ি পেয়েছিলেন। এরপর ২০২১ সালে তিনি বিধায়ক হন। বিধায়ক হওয়ার পর তার বাড়িতে যে সকল গরু, ছাগল, বাছুর ছিল সেসব তিনি আর দেখাশোনা করার সুযোগ পেতেন না। সেসব তিনি এখন বিক্রি করে দিয়েছেন এবং সেই টাকা দিয়ে আবাস যোজনা প্রকল্পের যে বাড়ি পেয়েছিলেন তার ছাদ ঢালাই করান। পরে ধীরে ধীরে বিধায়ক হিসাবে পাওয়া টাকা থেকে বাকি অংশের কাজ শেষ করেছেন।