ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাল গোটা রাজ্য। গত সোমবার, কৌশিকী অমাবস্যার দিনেই আর্থিক তছরুপের অভিযোগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয় CBI এর তরফ। যার জেরে আন্দোলনকারীদের মুখের হাসি চওড়া হল বটে তবে লড়াই থামানো হয়নি। কারণ বিচারের পালা যে এখনও বাকি। আর এই আবহে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ED রাজ্যে ফের তলব করল মন্ত্রী চন্দনাথ সিনহাকে।
ফের ED-র নজরে চন্দনাথ সিনহা!
সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ED দফতরে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা। রাজ্যের কারাগার মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর, প্রথম ডেকে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রী চন্দনাথ সিনহাকে। গাড়ি থেকে নেমেই রিপোর্টারদের সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎপর্ব না করেই সোজা ঢুকে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির দফতরে। জানা গেছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
উদ্ধার ৪১ লক্ষ টাকা!
আর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ED। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে বাড়ি ঘিরে ফেলেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তখন মন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারের কাছ থেকে কিছু তথ্য জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই সময় বেশ কিছু নথি, টাকা ও একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ED। কিন্তু উদ্ধার করা নগদ ৪১ লক্ষ টাকার উৎস কী? তার কোনও উত্তর সঠিক ভাবে মন্ত্রীর কাছে ছিল না। তাই ঠিক এই তল্লাশির এক সপ্তাহের মধ্যে ফের মন্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি নিজে না এসে তাঁর এক প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলেন। তিনিই ওই মোবাইল আনলক করেন।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের পরে আগস্টেই অখিল গিরির জায়গায় কারামন্ত্রীর দায়িত্বে দেওয়া হয় চন্দ্রনাথ সিনহাকে। কিন্তু এই পদোন্নতির মাঝেই শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তলব পড়ল তাঁর। অন্যদিকে ED সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে চন্দ্রনাথ সিনহার যোগসূত্র খোঁজা হচ্ছে। তাছাড়া নিয়োগ দুর্নীতিতে কেমন করে মন্ত্রী জড়িত তাও জানতে চায় ED অফিসাররা।