ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদী ঝড় যেন তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হয়েই চলেছে। কর্মস্থলে বিরতি নিয়ে জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসক লড়াইয়ের তাগিদে বাজি রেখেছে নিজেদের প্রাণ। আর তাদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়েছে সমস্ত সাধারণ মানুষ। তাই এক কথায় বলা যায় তিলোত্তমা নিজের প্রাণের বলিদান দিয়ে আরও একবার শহরে মনুষ্যত্বের রচনা লিখে দিয়েছে। আর এই মিছিল এবং বিক্ষোভের ঝড়ে কেউ সেলিব্রিটি বা বিশিষ্ট মানুষ হিসেবে নয় সকলে এক সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে পথে নেমেছে।
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, সুদীপ্তা চক্রবর্তীরা প্রায় প্রতিদিনই পথে নামছেন । গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারও তাঁর অন্যথা হয়নি। এদিন রাতে স্বস্তিকা ছিলেন শ্যামবাজারে। গলা তুলেছেন আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে। আর এসবের মধ্যেও ট্রোলিং করতে ছাড়লেন না নেটিজেনরা। এবার তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়ে একেবারে মুখ বন্ধ করে দিলেন স্বস্তিকা।
ট্রোলারদের যুক্তি দিয়ে মুখ বন্ধ করালেন স্বস্তিকা
অনেকে প্রশ্ন তোলেন মিছিলে বেরিয়ে হাসাহাসি কিসের? জবাবে তিনি লেখেন, ‘আমি সন্দীপ ঘোষ নই। আমি রেপ করিনি। আমি খুনও করিনি। রাস্তায় নেমে টানা ১৫ ঘণ্টা ধরে প্রতিবাদরত মহিলা বা পুরুষদের সারাক্ষণ মুখ গম্ভীর করে থাকতে হবে সেই নিয়মটা কে আবার বানালো? আর নয় আর কোন নিয়ম মানা হবে না। যেভাবে মনে হবে সেই ভাবে রাস্তায় নামব, দিনে, রাতে যখন খুশি। এরা আমার অপরিচিত। এদের সবার সঙ্গে আজকে আলাপ হল। কত অচেনা মানুষ চেনা হয়ে উঠছে। বেশ করেছি হেসেছি। যারা ২০ দিন ধরে রোজ জেগে আছে তারা যে ভাবে ভাল থাকার হোক থাকুক। যে যেভাবে প্রতিবাদ করার করুক। হেসে বা না হেসে। সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।’
পিরিয়ড নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন স্বস্তিকার
তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। নেটিজেনদের ট্রোলিং এর মুখ্য জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘যারা হেসেছি বলে ট্রোল করতে ব্যস্ত, তারা কেউ একবারও জিজ্ঞেস করল না কিন্তু যে এতগুলো মেয়ে যখন রাস্তায়, শ্যামবাজার মোড়ে যদি তাদের বাথরুম পায়, তাহলে তারা কোথায় যাবে? কারোর যদি পিরিয়ড হয় তাহলে কোথায় প্যাড এর ব্যবস্থা হবে? ছিঃ ছিঃ এসব একদম ভাববেন না।’ তাঁর এই প্রতিবাদের পোস্টে পাশে যেমন পেয়েছিলেন অনেক বিনোদন বন্ধু ঠিক তেমনই পাশে এসে দাঁড়িয়েছে একের পর এক নেটিজেন। সকলে মিলে উচ্চস্বরে মনের ভাবনা প্রকাশ করেছেন।
কমেন্ট সেকশনে ঢলে পড়েছে প্রতিবাদী ঝড়। একজন লেখেন ‘মেয়েরা হাসলে প্রবলেম, কাঁদলে প্রবলেম, রাস্তায় বেরোলে প্রবলেম, ফিরতে দেরি হলে প্রবলেম, বেশি পড়াশুনো করলে প্রবলেম, রোগা হলে প্রবলেম, মোটা হলে প্রবলেম। অর্থ্যাৎ মেয়ে মাত্রই প্রবলেম। এমনটাই অনেকে এই ২০২৪ এও মনে করে আসছেন। তাই এসব আগাছাদের বাদ দিয়েই চলুন আপনি-আপনারা-আমরা এগিয়ে চলি।’