ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যার সুবিচার গত ১৪ আগস্ট রাত দখলের লড়াই চলে। সেইসময় আরজি করের সামনেও জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। আর ঠিক সেই মুহূর্তে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা হাসপাতালের বাইরে এবং ভিতরে তীব্র তাণ্ডব চালায়। যার জেরে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই কারণেই হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় CISF জওয়ানরা। কিন্তু এবার জওয়ানদের থাকা-খাওয়ার দুরাবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে জওয়ানরা রাজ্যে উপস্থিত হলেও তাঁদের দেখাশোনা, থাকা এবং খাওয়ার এর সুব্যবস্থা করতে নারাজ রাজ্য সরকার। তাই এই ব্যাপারে ক্ষিপ্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, CISF দের জন্য মেটাল ডিটেক্টরের মতো নিরাপত্তার একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। পাশাপাশি সংবাদ সংস্থা PTI কে অমিত শাহ জানিয়েছেন যে, শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলে বর্ণনা করেছে কেন্দ্র।
হলফনামায় কী জানিয়েছে কেন্দ্র?
সেই হলফনামায় কেন্দ্র দাবি জানায় যে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছিল যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা থাকতেই পারেন। তাদের কোনও আপত্তি নেই। তার ভিত্তিতেই ২২ আগস্ট থেকে CISF মোতায়েন করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু তার পর ক্রমাগত রাজ্যের তরফে অসহযোগিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে শীর্ষ আদালতে মামলা ওঠার আগে কেন্দ্র CISF জওয়ানদের খাওয়া-থাকার সমস্যার বিষয়টি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে অনুরোধ করা হয়েছিল জওয়ানদের সমস্যা সমাধানের। কিন্তু রাজ্যের তরফে তার কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
কোথায় কোথায় মোতায়েন করা হয়েছে জওয়ান?
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে মোট ১৮৫ জন জওয়ানকে। লেডিজ কমন রুম হোস্টেল, ভেরি নিউ লেডিজ হোস্টেল, ইন্টার্ন হোস্টেল, ওল্ড হাউস স্টাফ অ্যান্ড পিজি হোস্টেল, ডরমেটরি-সহ এসজিপিজি হোস্টেল, রাত্রিনিবাস হোস্টেল এবং ওল্ড অ্যান্ড নিউ নার্সিংয় হোস্টেলের মতো মোট ৭ হোস্টেলেও তিন শিফটে ২ জন করে মোট ৪২ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। এবং ক্যাম্পাসের কে বি বয়েজ এবং মেন বয়েজ হোস্টেলে তিন শিফটে ২ জন করে মোট ১২ জন জওয়ানকে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর সঙ্গে হাসপাতালের একাধিক বিল্ডিং ও মেন গেটেও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়।