ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের এতদিনের লড়াইয়ে যেন একটু হলেও আশার আলো পেল আন্দোলনকারীরা। অবশেষে আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। জিজ্ঞাসাবাদের ১৫ দিনের মাথায় গ্রেফতার করল CBI৷ সোমবাড় সন্ধ্যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসের CBI দফতরে নিয়ে আসা হয়৷ এরপর সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
মূলত, হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্ত নয়া মোড় নিয়েছিল৷ সন্দীপের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি, টাকা দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পাশ, মৃতদেহ পাচারের মতো নানা গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার৷ সেই অভিযোগের তদন্তে একাধিকবার আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করেছে CBI ৷ বাদ যায়নি হাসপাতালের মর্গও। পরে আরজি কর-কাণ্ডের পর সেই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি সিট গঠন করা হলেও কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের দায়িত্ব দেয় CBI-কে ৷ সেই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷
কী বলছেন নির্যাতিতার মা বাবা?
এদিন সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর নির্যাতিতার মা-বাবা বলেছেন, তাঁদের মেয়ে দুর্নীতির বলি। হাসপাতালের এই ভয়ংকর দুর্নীতির কথা মেয়ে জেনে যাওয়ায় এমন পরিণতি তৈরি হয়েছে।’ এছাড়াও নির্যাতিতার মা-বাবা বলেছেন, শুধু সন্দীপ ঘোষ বা সঞ্জয় নয়, এর পেছনে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। বাকি দোষীদেরও যেন শীঘ্রই গ্রেফতার করা হয়। তখনই এই জয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জয় হবে।’ জানা গিয়েছে আগামী ৪ তারিখ আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁরাও থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
বেজায় খুশি শান্তনু সেন
এছাড়াও সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির খবরে বেজায় খুশি তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র শান্তনু সেন। তিনি তাঁর সোশ্যাল সাইটে লিখলেন, ‘ঈশ্বর বিচার করলেন। প্রমাণ হল আমি ভুল বলিনি। সঠিক জায়গায় দুর্নীতির তথ্যগুলো অনেক আগেই জানিয়েছিলাম।’ পাশাপাশি শান্তনুর সঙ্গে গলা মেলালেন তৃণমূলের অপর এক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। গতকাল সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরে রাত ৯টা নাগাদ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করে সুখেন্দুশেখর লিখেছেন, ‘মিডল স্টাম্প উপড়ে গেল, এর পর কী?’