ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডকে ঘিরে এখনও তোলপাড় গোটা রাজ্য। গত ৯ আগস্টে কলকাতার বুকে এক তরুণী ডাক্তারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় বিচার চাইতে রীতিমত দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সমস্ত সাধারণ মানুষ। এই লড়াই সকলের, তাইত সামিল হয়েছে সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে ক্রিকেটবিদদের একাংশ।
গতকাল ধর্মতলায় রাত দখলের লড়াইয়ে আরও একবার সামিল হয়েছেন মহিলারা। সঙ্গে ছিলেন অনেক পুরুষও। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষ তো বটেই, কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে রাত জেগেছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও। এক সাধারণ মানুষ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের পাশে। নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিতে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্যের চারটি দফতরে অর্থাৎ স্বাস্থ্য, নারী ও শিশুকল্যাণ, শিক্ষা এবং পরিবহণ এর ১১ দফা দাবি মেল করা হয়েছে। বলা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে জবাব না আসা পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে। আর সেই প্রতিবাদে সামিল হন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
স্বরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন স্বস্তিকা
গতকালের ধর্মতলার সামনে ধর্না মঞ্চে ছিলেন শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়রা। আর সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, টলিউডের ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে তুলোধোনা করলেন। তিনি জানান, ‘রাস্তায় আউটডোরে শ্যুটিং করতে গেলে, আমরা তো রাস্তায় হিসু করি। একটা বাথরুম নেই, মহিলাদের বাথরুম করার কোনও জায়গার ব্যবস্থা নেই। না আছে রাজ্যে, আর না আছে কোনও দেশে। তবে এটা শুধু অভিনেত্রীদের অসুবিধা সেটা কিন্তু নয়, রাস্তা দিয়ে যে সব মহিলারা যাতায়াত করে, তাদের সবার কথা।’
ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের নিয়ম বানানোর ঘোষণা সোহিনীর!
তিনি আরও বলেন, ‘ধাবার বাথরুমগুলো এত নোংরা থাকে যে, ওখানে হিসু করলেই UTI নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। আর হাসপাতালে ভর্তি হলেই ধর্ষণ হবে। তার চেয়ে বাবা যাদের চিনি বলব এদিক দেখ, ওদিক দেখ, তারপর রাস্তার ধারে শালীনতা বজায় রেখেই হিসু করতে বসে যেতে।’ এছাড়াও তিনি জানান ‘আরজি কর ঘটনার পর কেন এই কথাগুলো এখন ভাবছে সরকার। এতদিন কেন ভাবল না।’ অভিনেত্রী সোহিনীও তাঁর সঙ্গে সহমত হয়ে বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ যদি বলেন যে আমাদের সুরক্ষিত রাখবেন, আমরা মেনে নেব না। আমরা মহিলা অভিনেত্রীরা নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেরাই করে নেব। গোটা পশ্চিমবঙ্গ মহিলাকে নিয়ে ঘোষণা করতে গেলে, সেটা সরকারের তরফ থেকে অফিসিয়ালি করতে হবে। তবে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে আমরা মহিলারা নিয়ম বানিয়ে নেব। সেক্ষেত্রে শাসকদলের কেউ এসে সেই নিয়মগুলো বানাবে না।’