ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভর করে শিল্প এবং কৃষি ব্যবস্থায়। আর এই কৃষি ব্যবস্থার মধ্যে নানা রকমের চাষ এর প্রকারভেদ দেখা যায় সবজি চাষ থেকে শুরু করে মৎসচাষ। তবে এবার সরকার খোদ যত ইচ্ছা মাছ ধরার অনুমতি দিলেন সকলকে। উল্টে সরকারই এই মাছ ধরার জন্য দেবে টাকা! তাও আবার দ্বিগুণ। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? তবে এটাই সত্যি। তাহলে সম্পূর্ণটা জানতে আমদের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ে নিন।
জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ডে তেলাপিয়ার একটি প্রজাতিকে ‘সবচেয়ে আক্রমণাত্মক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। যার ফলে তেলাপিয়ার বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ মারফৎ জানা গিয়েছে ‘ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া’ নামের এই প্রজাতি ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে। সেখানকার অন্যান্য ছোট মাছ যেমন কুচো চিংড়ি ও শামুক, লার্ভা যেগুলি থাইল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সেগুলি খেয়ে ফেলছে এই জাতের তেলাপিয়া। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হল ইতিমধ্যে, এই প্রজাতির মাছ থাইল্যান্ডের অন্তত ১৭টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
কী ক্ষতি করছে তেলাপিয়া?
প্রশ্ন উঠছে কীভাবে তেলাপিয়া এমন দ্রুত ছড়াচ্ছে সেই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট। সম্প্রতিই থাইল্যান্ড সরকারের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তেলাপিয়া মাছের কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। প্রায় লোকসান হচ্ছে ২৯৩ মিলিয়ন ডলারের। ব্যাংককের এমপি নাত্তাচা বুনচাইনসাওয়াত জানিয়েছেন, ‘ যত দ্রুত সম্ভব এই ক্ষতি পূরণ করতেই হবে। এবং ভয়ংকর প্রজাতির মাছকে ধরতেই হবে। আমরা ভবিষ্যৎ এ একটি বিধ্বস্ত ইকোসিস্টেম রেখে যেতে চাই না।’
দেওয়া হবে দ্বিগুণ টাকা!
এদিকে মাছটিকে ধরার জন্য নানা রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এমনকি জেনেটিক পরিবর্তনের মাধ্যমেও এই প্রজাতির তেলাপিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর আগেও ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়ার প্রাদুর্ভাবের দেখা গিয়েছিল থাইল্যান্ড। তবে এবারের ক্ষতিটা যেন রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আসলে থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিকভাবে মাছ ও চিংড়ির চাষ হয়। দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশও এই রঙিন বিদেশি মাছ বিক্রি থেকে আসে। সেখানেই ব্যবসায় ক্ষতি করছে এই তেলাপিয়া মাছ। তাদের রুখতেই সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও তেলাপিয়া মাছ ধরতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বলা হয়েছে, এই মাছ ধরলে প্রতি কেজিতে দ্বিগুণ দাম দেওয়া হবে।