ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ভারতীয় রেল পরিষেবাকে গোটা দেশবাসী চোখ বন্ধ করে ভরসা করে থাকে। কিন্তু বিগত কয়েকদিন সেই ভরসার ভীত কোথাও যেন নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে শতাধিক সাধারণ মানুষের। গত মাসেই পর পর ৩-৪ টে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শিরোনামে উঠে এসেছে। যার দরুন বেশ উদ্বিগ্ন গোটা ভারতীয় রেল। আর এই আবহেই নতুন মাস পড়তে না পড়তেই ফের এক বড় রেল দুর্ঘটনার খবর সামনে উঠে এসেছে। অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেন ট্রেনযাত্রীরা।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে, সাড়ে ১১টা নাগাদ শালিমার ও সাঁতরাগাছির মাঝামাঝি পদ্মপুকুর ইয়ার্ডে ঢোকার পথে ৩৮৩০৫ ট্রেনটির ফাঁকা রেকের সঙ্গে আচমকা ধাক্কা লাগে সিগন্যালের খুঁটির সঙ্গে লাগিয়ে রাখা মইয়ের। যদিও সাঁতারাগাছি স্টেশন পেরিয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে চালক দেখতে পেয়েছিলেন সিগন্যাল পোস্ট থেকে একটি লোহার অ্যাঙ্গেল বিপজ্জনকভাবে বাইরে বেরিয়ে আছে। ট্রেন চলার সময় কামরার গায়ে ঘষাও খেতে থাকে। এদিকে চালকের পাশাপাশি ততক্ষণে এ দৃশ্য চোখে পড়েছে ট্রেনে থাকা যাত্রীদেরও। সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিগন্যাল পোস্টের ক্ষতি হওয়ার চালক সময় নষ্ট না করে ট্রেন থামিয়ে দেন এবং কন্ট্রোল রুমে জানানো হয়।
প্রায় ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে!
কিছু সময়ের মধ্যেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের ইঞ্জিনিয়ররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। এবং সেখানে গ্যাস কাটার দিয়ে মইয়ের অ্যাঙ্গেলটি কেটে বাদ দেওয়া হয়। যার ফলে অনেকটা সময় ব্যয় হয়। অবশেষে প্রায় এক ঘণ্টা পর ফের যাত্রা করে ট্রেনটি। সেই কারণে শালিমার স্টেশন থেকে হায়দরাবাদ অভিমুখে যাওয়া ইস্ট-কোস্ট এক্সপ্রেস প্রায় ৪০ মিনিট দেরি হয়। অন্যদিকে লাইন খালি না থাকায় চেন্নাই সেন্ট্রাল থেকে শালিমারগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসকেও প্রায় ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
এই ঘটনার উৎপত্তি কীভাবে হল এবং কীভাবে সিগন্যাল পোস্টের ওই অবস্থা হল সেই উত্তর এখনও জানা নেই কারও কাছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে ওই লাইনে প্রচুর ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। খতিয়ে দেখছেন রেলের কর্তারা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কী ঘটেছিল, সেই বিষয়ে সত্ত্বর বিস্তারিতভাবে জানানো হবে।’