ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দীর্ঘায়ু হওয়ার ইচ্ছা কার না থাকে। সকলেই চায় জীবনটা আরও সুন্দর করে বেশ কয়েকটা দিন আরও বাঁচতে। কিন্তু তারপরও ব্যস্ত জীবনে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অধিকাংশই এই কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেন না। তবে এই অসফলতার পিছনে কলকাঠি নাড়ে আমাদেরই কিছু বদভ্যাস। বিশেষত, খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেই শুরু হয় এই সকল ভুলভ্রান্তি।
প্রথম থেকেই এই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন না আনলে আয়ু ক্রমেই কমতে থেকে। আর সেই কারণেই পুষ্টিবিদরা সকলকে খাবার নির্বাচনের সময় যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা বিশেষ এমন কয়েকটি খাবারের নাম করব, যার ফলে আমাদের আয়ু বাড়ার চেয়ে হুড়মুড়িয়ে কমাতে থাকে। এবং অল্প বয়সেই মুখে বয়স্কের ছাপ পড়তে থাকে। এবং যত দ্রুত সম্ভব এইসব খাবারগুলিকে ডায়েট থেকে বের করে দিন। তাহলেই সুস্থ থাকার পথে আর কোনও বাধা আসবে না।
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়
কম বেশি আমরা সকলেই সারাদিনের ব্যস্ততায় ক্লান্তিভাব দূর করতে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় খেয়ে থাকি। কাজের ক্ষেত্রে যেমন এই পানীয় শরীরে এনার্জি দেয় ঠিক তেমনি সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও এই পানীয় বিষের সমান কাজ করে। আমরা যত এই পানীয় গ্রহণ করি, ততই আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে খুব কম বয়সেই মুখে বলিরেখা পড়তে থাকে।
বেক অথবা প্রসেসড ফুড
হ্যাম, বেকন, সসেজ, কুকিজের মতো প্রসেসড খাবার বা বেকিং খাবার নিয়মিত খেলে যেমন হার্ট, কিডনি সহ দেহের একাধিক অঙ্গে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এমনকী এইসব খাবারের কারসাজিতে শরীরে বাড়তে পারে প্রদাহের প্রকোপ। শরীরে বাঁধতে পারে ক্যানসারের মতো জটিল অসুখ। তাই আজ থেকেই এইসব খাবারের থেকে দূরত্ব তৈরি করে নেওয়াই মঙ্গল।
অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়
অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। এমনকী এই পানীয়ে নিয়মিত পান করলে ক্যানসারের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সকলকে অ্যালকোহলের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বেশি মিষ্টি
বাঙালির কাছে মিষ্টি শুধু একটা খবর নয় বরং সহজ ভাষায় বলা যায় ইমোশন। যার সঙ্গে বাঙালি সহ গোটা ভারতীয় সংস্কৃতির সম্পর্ক চিরন্তন। কিন্তু নিত্যদিন মিষ্টি খেয়ে রসনাতৃপ্তি মেটাতে গিয়ে দেহে ইনফ্লামেশনের প্রকোপ বাড়ছে। এমনকী ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে ওজনও। আর এই দুই কারণেই মূলত কমে যায় আয়ু।