নিজেদের কর্মীর 'ঘুষ' নেওয়ার ছবিকে 'FAKE' বলে অস্বস্তিতে কলকাতা পুলিশ! করতে হল পোস্ট ডিলিট

Indiahood Desk

নিজেদের কর্মীর ‘ঘুষ’ নেওয়ার ছবিকে ‘FAKE’ বলে অস্বস্তিতে কলকাতা পুলিশ! করতে হল পোস্ট ডিলিট

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গতকাল অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর ছিল পুলিশ দিবস। কিন্তু আরজি করের তিলোত্তমাকাণ্ডের আবহে এদিনে কলকাতা পুলিশের অস্বস্তির যেন অন্ত থাকল না। শুধু তাই নয় সঠিক বিচারের দাবিতে দফায় দফায় যেখানে মিছিল বের হচ্ছে সেখানে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে গিয়েও রীতিমত মার খেতে হচ্ছে রক্ষককে। শুধু কি জনগণের মার! তার সঙ্গে জুটছে সাধারণদের নানা কুমন্তব্য। আর এই আবহেই এবার এক পুলিশ কর্মীর ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভাইরাল ছবি

সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বাসের চালক হাত বাড়িয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টকে কিছু একটা দিচ্ছেন বা নিচ্ছেন। কিন্তু সেটা কী ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। আর তা নিয়ে এবার ফেসবুকে বহু মানুষ নানাভাবে পোস্ট করে। অনেকেই দাবি করেন, পুলিশ টাকা খাচ্ছেন বা ঘুষ নিচ্ছেন। কিন্তু এই ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারটা চড়াও হতেই সেই পোস্টকে ‘FAKE’ বলে দাবি করে কলকাতা পুলিশ।

কী বলছে কলকাতা পুলিশ?

   

ভাইরাল পোস্টটি ঘিরে যখন সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখন সেই সময়ে কলকাতা পুলিশও একটি পালটা পোস্ট করে। দাবি করা হয়, গত মাসের ২৫ তারিখ এই ছবিটি তোলা হয়েছে। সেখানে পুলিশ সার্জেন্ট চালান কাটছেন, ঘুষ নিচ্ছেন না। বিস্তারিতভাবে কলকাতা পুলিশের সেই পোস্টে লিখেছিল যে, ‘নীচের ছবিটি ভালো করে দেখুন। ভাইরাল হয়েছে ছবিটি। অনেকেই হয়তো দেখেছেন। অনুরোধ, তাঁরা আবার দেখুন। যাঁরা এখনও দেখেননি, তাঁরাও দেখুন। ছবিতে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি আমাদের সহকর্মী উল্টোডাঙা ট্র‍্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট, যিনি ২৫ আগস্ট সকাল দশটা নাগাদ খান্না মোড়ের কাছে একটি বেসরকারি বাস আটক করেন। এবং পথচলতি যানবাহনের অসুবিধা ঘটানোর জন্য জরিমানা করেন চালককে। জরিমানার পরিমাণ ছিল ৫০০ টাকা। প্রদেয় রিসিট সহ। স্পট ফাইনের এই টাকাটাই উনি নিচ্ছিলেন, যা বিধি অনুসারে জমা হবে সরকারি কোষাগারে।

এছাড়াও সেই পোস্টে আরও বলা হয় ‘যাঁরা সত্যিই সত্যিটা জানতে চান, তাঁদের জন্য বাকি ছবিগুলিতে কেস নম্বর, ধারা ইত্যাদি তথ্য দেওয়া রইল। অথচ, সত্যিটা না জেনেই নেটিজেনদের একাংশে ছবিটিকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে নানা রকমের ব্যঙ্গ, কটাক্ষ এবং গালাগালির স্রোত। যত বেশি গালাগালি, তত বেশি লাইক, তত বেশি শেয়ার! শেষে বলার, ভালমন্দ সব পেশাতেই আছে, পুলিশেও আছে। কাজে ভুলত্রুটি বা অন্যায় হলে নিশ্চয়ই তা আমাদের গোচরে আনুন, সমালোচনা করুন, আমরা সাধ্যমতো ব্যবস্থা নেব। তবে পুরোটা না জেনে ভুল তথ্য প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না, অনুরোধ এটুকুই। সত্যিটা দিনের শেষে সত্যি, আর মিথ্যেটা মিথ্যেই।’ কিন্তু এরপর বাকি নেটিজেনদের তরফ থেকে এও দাবি করা হয় যে ছবিটি ২০২৩ সালে তোলা। আর ঠিক পরক্ষণেই অদ্ভুতভাবে কলকাতা পুলিশের পেজে সেই ‘ফ্যাক্টচেক’ পোস্টটি আর দেখা যাচ্ছে না বলে অনেকে দাবি করেছে।

এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কলকাতা পুলিশ তো এখন ফেক ভিডিয়ো, ফেক ছবি, ক্রপ করা ছবিই দেখাচ্ছে। পুলিশের মুখ এত কালো হয়ে গিয়েছে, ফেক ছাড়া আর কিছু চলবে না।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন