ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ভারতীয় রেল দেশের সকল নাগরিককে আধুনিক এবং উন্নত মানের পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর। তাইতো প্রতিনিয়ত একের পর এক নয়া উদ্যোগ নিয়েই চলেছে রেল। কখনও ট্রেনের নতুন রুট নির্মাণ, তো কখনও আবার উন্নত মানের যন্ত্র ব্যবহার তো আবার কখনও স্টেশন চত্বর পুনঃনির্মাণ। আর স্টেশন চত্বর পুনঃনির্মাণ এর প্রসঙ্গ উঠতেই বাংলার এক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের কথা মাথায় আসে। যা দেখলে মনেই হবে না স্টেশন। গঠনকার্য দেখলে পুরো মনে হবে বিমানবন্দর।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। খোদ বাংলায় এমন একটি স্টেশন আছে, যেখানে প্রতিটা স্তরে স্তরে রয়ে এয়ারপোর্ট অথবা বিমানবন্দরের ছোঁয়া। প্রথমবার কেউ আসলেই হকচকিয়ে যাবে আর ভাববে ভুল করে বিমানবন্দরে চলে এল কিনা। আমরা যেই রেলস্টেশনের কথা বলছি সেটি হল আসানসোল রেলস্টেশন। শিল্পাঞ্চলে ভরপুর আসানসোল স্টেশন প্রতিদিনই প্রায় ৬০০০০ যাত্রীকে পরিষেবা দিয়ে থাকে। পূর্ব রেল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত এই রেল স্টেশনকে খোলনলচে বদলে ফেলতে প্রায় 500 কোটি টাকার খরচ করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। কিন্তু সদা ব্যস্ত স্টেশনটি পরিষ্কার রাখাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় সরকারের কাছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখাও বেশ জরুরি। তাই এই এত বড় স্টেশনকে পরিষ্কার রাখার জন্য একটি নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে।
স্টেশন চত্বর পরিষ্কার রাখতে নয়া উদ্যোগ
বরাবরই স্টেশনে আবর্জনার পাহাড়, পান চিবানোর রস, তামাক এবং গুটখার দাগের মতো নানা জিনিস আশেপাশে দেখা যায়। যা দৃশ্যদূষণ ঘটায়। তাই এর উপর কড়া পদক্ষেপ নিতে পূর্ব রেলওয়ে এক উন্নত যন্ত্র নিয়ে এসেছে। এখন থেকে প্ল্যাটফর্মগুলি স্ক্রাবার মেশিনের সাহায্যে ভাল ভাবে পরিষ্কার করা হবে পাশাপাশি ফ্লোর বা মেঝেগুলিতে শক্ত ও জেদি দাগ তুলতে উচ্চ চাপের জেট ব্যবহার করা হবে। শুধু তাই নয় দেওয়াল এবং বুকিং কাউন্টারের গ্লাসের অংশগুলিও ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা হবে।
কী কী নয়া পরিষেবা মিলছে?
এছাড়াও প্ল্যাটফর্মের বসার জায়গাগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি বজায় থাকে। স্টেশনের শুকনো এবং ভেজা আবর্জনার জন্য প্রায় ৪৫টি বর্জ্য ফেলার পাত্র স্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য স্টেশনে প্রায় ১৬৪৯ টি সিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি পানীয় জল সরবরাহ পরিষেবা, শৌচালয় সবই হবে অত্যাধুনিক ৷ স্টেশনে থাকবে বায়ো টয়লেট ৷ এমনকি ওয়েটিং রুমে থাকবে নানা ধরনের বিনোদনের উপকরণ ৷ আসলে এই সমস্ত পদক্ষেপ শুধুমাত্র করা হয়েছে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং কল্যাণের কথা ভেবেই। তাই সব দিক থেকে আশা করা যাচ্ছে আগামী দিনে আসানসোল বেঙ্গালুরুর স্টেশনকে জোর টক্কর দিতে চলেছে।