ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন। ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছিল শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গণ আন্দোলনে। যা শেষপর্যন্ত সামাল দিতে পারেননি শেখ হাসিনা! যার জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। আর তাতেই প্রশাসনিক গঠন এর ভার চলে যায় দেশের ছাত্র সমাজের হাতে।
এদিকে হাসিনা সরকার পতনের পরেই বাংলাদেশে একাধিক হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ খানিকটা উদ্বেগে ছিল দিল্লির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে মহম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নবনির্বাচিত হওয়ার যখন শুভেচ্ছা জানান তখন তিনি সেখানকার হিন্দুদের রক্ষা করার আর্জি করেন। এমনকি এই বিষয়ে ফোন করে মহম্মদ ইউনুসকে উদ্বেগের কথাও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সেই কথপোকথনে মহম্মদ ইউনূস আশ্বস্ত করেন যে হিন্দুদের রক্ষা তিনি করবেন।
কোথা থেকে শুরু হবে শোভাযাত্রা?
আর এবার মহম্মদ ইউনূসের আমলে এই প্রথম জন্মাষ্টমী পালিত হতে চলেছে বাংলাদেশে। এইমুহুর্তে সেখানে জন্মাষ্টমী পালনে কোনও বাঁধা নেই। তবে, বাংলাদেশে জন্মাষ্টমী পালন এবং শোভাযাত্রায় মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। জন্মাষ্টমীর দিনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ মূল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা শহরে। সেখানকার বিখ্যাত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে শুরু হবে সেই শোভাযাত্রা শেষ হবে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে। তবে এই শোভাযাত্রায় বেশ কিছু কঠোর নিয়ম এবং নির্দেশ মানতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শোভাযাত্রায় কঠোর নিয়ম!
ঢাকার পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শোভাযাত্রায় ছুরি, অস্ত্র, কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দেশলাই এবং গ্যাসলাইট জাতীয় কিছু বহন করা যাবে না। এছাড়াও সেই সময়ে ওই রুটে কোনও যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। রুটের আশপাশের সব দোকান শোভাযাত্রা চলাকালীন বন্ধ রাখতেও পুলিশের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে। শোভাযাত্রার সময় উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজানো যাবে না। এরই সঙ্গে শোভাযাত্রা চলাকালীন রুটে কোনো ধরনের ফলমূল ছোঁড়া যাবে না। DMP কমিশনার মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে নিরাপত্তার জন্যই সবাইকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে।