দেবপ্রসাদ মুখার্জী: বিতর্ক ও হতাশা যেন ইস্টবেঙ্গলের পিছু ছাড়ছে না। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের সম্মুখীন হতে হল লাল-হলুদ শিবিরকে। আনোয়ার আলি দলে ফিরলেন, মাঠেও নামলেন, কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে তিনিও ব্যর্থ হলেন। একজোড়া গোল খেয়ে ইস্টবেঙ্গল দল ISL 2024-25 অভিযানের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারলো।
এবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল। অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-১ গোলে পরাজিত হয় লাল-হলুদ ক্লাব। ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পরেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে এই দ্বিতীয় পরাজয় দলের জন্য হতাশাজনক।
এগিয়ে থেকেও যেভাবে ম্যাচ হারলো ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের প্রথমার্ধে দু’দলই আক্রমণ ও প্রতিআক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু, প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের খাতা খুলতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের পিভি বিষ্ণু গোল করে দলকে ১-০ তে এগিয়ে দেন। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র চার মিনিট পর, কেরালার নোয়া সাদাউই অসাধারণ দক্ষতায় গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। কিন্তু ৮৮ মিনিটে ঘটে যায় সেই অঘটন, যার জন্য ইস্টবেঙ্গলকে আবারো হারের মুখোমুখি হতে হল। আনোয়ার আলির ভুলে কেরালার কোয়ামে পেপরাহ বলটি পেয়ে যান এবং তাঁর জোরালো শট আনোয়ারের পায়ের ফাঁক দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের জালে প্রবেশ করে। কেরালা ব্লাস্টার্সের এই দ্বিতীয় গোল ইস্টবেঙ্গলের হার নিশ্চিত করে।
ম্যাচের ভিলেন হলেন আনোয়ার আলি
এই ম্যাচটি আনোয়ার আলির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ অনেক আইনি জটিলতার পর ইস্টবেঙ্গল তাঁকে মাঠে নামানোর সুযোগ পায়। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে এই কঠিন ম্যাচে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন কোচ কুয়াদ্রাত। তবে দুঃখজনকভাবে, আনোয়ার আলির ভুলেই হয়ে গেল ম্যাচের নির্ণায়ক গোল। এটি তাঁকে ম্যাচের ‘ভিলেন’ করে তোলে।
শক্তিশালী দল তৈরি করেও হার ইস্টবেঙ্গলের
এই পরাজয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গল দুই ম্যাচে টানা হেরে তাদের সমর্থকদের হতাশ করেছে। শক্তিশালী দল গড়েও পরপর হারের ফলে কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের উপর চাপ বাড়ছে। পরবর্তী ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল কীভাবে নিজেদের ফিরে পাবে, তা নিয়ে সমর্থকদের কৌতূহল রয়েছে।