শ্বেতা মিত্রঃ ঘুরতে যাওয়ার না আছে সঠিক সময় না আছে সঠিক বয়স। মেজাজটাই আসল। অনেকেই হয়তো ওই কথাটা শুনে একটু আপত্তি জানাতে পারেন। কারণ টাকাপয়সার কথাও ভাবতে হয় বৈকি। অনেকের হয়তো ঘুরতে যেতে খুব ইচ্ছা করে কিন্তু পকেটের কথা ভেবে আর বেরোনো হয় না। আপনার এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই আজকে আমাদের প্রতিবেদন। উত্তরবঙ্গের সেরা একটা জায়গার সন্ধান আপনাদের দিতে চলেছি।
উত্তরবঙ্গের হিডেন জেম
না না, দার্জিলিংয়ের কথা বলছি না। এমন একটা জায়গার নাম বলতে চলেছি যেটার নাম হয়তো এখনও শোনেননি। একেবারে অফবিট একটা জায়গা। চলুন যাওয়া যাক পাহাড়ের কোলে ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজ নিতে। আমরা যে জায়গার নাম বলছি সেটা হল শেরপা গাঁও। পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট এই গ্রামটি কালিম্পঙয়ের লাভা গ্রামের মাঝে অবস্থিত। আধুনিক কায়দায় যাকে বলে হিডেন জেম। লুকোনো একটি গ্রাম, যেখানে একটু গিয়ে বসলে মনে হতে পারে, আহা কি দেখিলাম, যেন স্বর্গ! শেরপা গাঁও এর আশেপাশেই রয়েছে ঘুরে দেখার মতো অনেক জায়গা রয়েছে। হেঁটেই পৌঁছে যেতে পারেন পাহাড়ি কোনও চা বাগান কিংবা মনেস্ট্রিতে।
ঘুরে আসুন শেরপা গাঁও
পাহাড় মানেই মেঘের আনাগোনা, কখনও কুয়াশা কখনও রোদ। কিন্তু এই গ্রামে যাবেন কিভাবে? যাওয়া খুবই সহজ। সবার আগে যেমন শিলিগুড়ি কিংবা নিউজলপাইগুড়ি যান তেমনই যাবেন। তারপর সেখান থেকে লাভা। মালবাজার হয়েও লাভা যাওয়া যায়। লাভাতে নেমে একটু এগোলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে শেরপা গ্রামে। এখানে থাকার জন্য সুলভে পেয়ে যাবেন হোমস্টে। মাথা পিছু ১০০০ টাকা খরচা করলেই আপনি চারবেলা খাবার পেয়ে যাবেন। পায়ে হেঁটে ঘুরে আসতে পারবে সুন্দর সুন্দর চা বাগান ঘেরা পাহাড়, মোনেস্ট্রি আরও অনেক কিছু, যেন মনে হবে মেঘেদের দেশ।
কীভাবে যাবেন?
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই সুন্দর জায়গায় আপনি পৌঁছাবেন কীভাবে? তাহলে জানিয়ে রাখি, নিউ জলপাইগুড়ি/শিলিগুড়ি বা মালবাজার থেকে লাভা গামী যেকোনো গাড়িতে উঠে নামতে হবে ফটকে । তারপর সেখান থেকে কিছুটা দূরেই শেরপা গাঁও। এখান থেকে আপনারা অনায়াসেই লাভা, লোলেগাও, ঝান্দি, রিশপ, কোলাখাম, নকধারা, ছাঙ্গি ওয়াটারফল, নেওড়াভেলি ন্যাশনাল পার্ক ইত্যাদি ঘুরে আসতে পারবেন।