কলকাতা, শ্বেতা মিত্রঃ পদ্মা পাড়ের ইলিশ নিয়ে এবার সকলের অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। সামনে রয়েছে দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপুজোর আবহে বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে পদ্মা পাড়ের ইলিশ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এই নিয়ে ইতিমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অর্থাৎ বাংলাদেশের ইলিশ আর না পাওয়া নিয়ে বাংলা তথা ভারতবাসীকে হা হুতাশ করতে হবে না।
ভারতকে ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
শনিবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ মাছ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আবেদনকারীদের যথাযথ সরকারি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে রফতানির অনুমতি নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর আগে বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে ইলিশ সরবরাহ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
ডেডলাইন বেধে দিল বাংলাদেশ
ভারতকে ইলিশ মাছ রফতানি নিয়ে বাংলাদেশের তরফে ভারতকে আবেদনের জন্য একটা সময়সীমা অবধি বেঁধে দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে রফতানিকারকদের আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। আবেদনপত্র উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ ১২৭, ভবন-৩, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। সময়সীমার পরে কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। এর আগে স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতে ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ।
এই বিষয়ে বড় মন্তব্য করেছেন ‘ফিশ ইম্পোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ। তিনি বলেন, ‘মাছ আসছে নিশ্চিত। একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে মাছের দাম কতটা কী হবে, বলা সম্ভব নয়। এমনিতেই ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া! যদি পরিমাণে বেশি আসে, তবেই দাম কম হবে। নয়তো দাম বেশিই থাকবে।’
বাংলাদেশকে অনেক কিছু পাঠিয়েছে ভারত
এদিকে বাংলাদেশের দুঃসময়ে ভারত কিন্তু অনেকটাই পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে গণ অভুত্থানের পর সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। যা কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল সেখানকার সাধারণ মানুষকে। তবে এই দুঃসময় বাংলাদেশকে পিঁয়াজ, আলু থেকে ডিম পাঠিয়েছে। এদিকে মার্কিন সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ চোখে দেখা হচ্ছে। বেশকিছু রহস্য নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক হতে পারে বলে শোনা গিয়েছে। যদিও ইউনুসের সঙ্গে মোদী আমেরিকায় বৈঠক করবে না বলে জানানো হয়েছে।