শিয়ালদা, শ্বেতা মিত্রঃ ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইন বলা হয়। কারণ অবশ্যই এর বড় কারণ হল বিশাল নেটওয়ার্ক। ভারতীয় রেলের ওপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। ট্রেনে ভ্রমণের সময় যাত্রীদের যাতে কোনও ধরনের অসুবিধা না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই একাধিক নিয়ম করেছে ভারতীয় রেল। এদিকে সামনেই রয়েছে দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপুজোর আবহে পোয়া বারো হতে চলেছে রেল যাত্রীদের। আসন্ন দুর্গাপুজোর সময় রেল যাত্রীদের যাতে কোনোরকম সমস্যা না হয় সেটার জন্য একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। বিশেষ করে শিয়ালদহ ডিভিশন নিয়ে এক ধাক্কায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল যার দরুণ উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী।
শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীদের জন্য সুখবর
ট্রেনের ওপর ভর করে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন।ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইন বলা হয়। কারণ অবশ্যই এর বড় কারণ হল বিশাল নেটওয়ার্ক। ভারতীয় রেলের ওপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। এবার পুজোর সময়ে শিয়ালদহ ডিভিশনের একের পর এক স্টেশন থেকে শুরু করে ট্রেনে পরিষেবা বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে পূর্ব রেল।
প্রথমেই যেমন রেল স্টেশনগুলিতে যাতে যাত্রীরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন সেটার জন্য অতিরিক্ত আরপিএফ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। বারাসত, খড়দা, বালিগঞ্জ, ব্যারাকপুর, বনগাঁর মতো একাধিক জায়গায় মোতায়েন হবে আরপিএফ। ২৪টি দুর্বল লেভেল ক্রসিং চিহ্নিত করে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী রাখার কথা ভাবা হয়েছে। এর পাশাপাশি শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম, নৈহাটি, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগরের মতো স্টেশনে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড ও প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস ব্যবস্থা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বসছে ‘May I Help you’ লেখা বুথ
যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে শিয়ালদহ, কলকাতা ও দমদম জংশনের মতো ব্যস্ত স্টেশনগুলিতে ‘May I Help you’ লেখা বুথ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ৫ টি টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। শিয়ালদহ মেইন লাইনে ৪টি ও শিয়ালদহ দক্ষিণে ১টি কাউন্টার খোলা হবে। সেই কাউন্টারগুলি খোলার জন্য অতিরিক্ত বুকিং ক্লার্কও মোতায়েন করা হবে। প্রত্যেকটি স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল, থাকবে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা হবে।
ট্রেনের কোচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
সব থেকে বড় কথা, পুজোর সময়ে যাতে টিকিট না পাওয়া নিয়ে দুঃখ না করতে হয় সেটার জন্য ও অবশ্যই ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে জেনারেল কোচ বাড়ানো হবে। মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিনিয়র স্কাউটস, সেন্ট জনস অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। সেইসঙ্গে অসুস্থ যাত্রীদের যত্ন নেওয়ার জন্য ডাক্তার এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ উপস্থিত থাকবে স্টেশনগুলিতে। থাকবে ফার্স্ট এইড বক্স, স্বাস্থ্য ইউনিট এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ। কলকাতা ও দমদম জংশনের মতো ব্যস্ত স্টেশনগুলিতে থানা, হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ফোন নম্বর বুথগুলিত রাখা হবে।