দেবপ্রসাদ মুখার্জী, বীরভূম: গতকাল জামিন পেয়েছেন বীরভূমের একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ED-র মামলায় তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত। এখন তাঁর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছে বীরভূমের তৃণমূল কর্মীরা। অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বীরের বরণ’ করার ইচ্ছে প্রকাশ করল বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্ব।
দীর্ঘদিন তিহার জেলে বন্দি থাকার পর, গরু পাচার এবং আর্থিক তছরূপ মামলায় জামিন পেয়ে শীঘ্রই বীরভূমে ফিরছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই খবরে বীরভূমের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই খবর সামনে আসার পরই বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বোলপুরের পথচলতি মানুষকে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ উদযাপন করেন।
CBI-র পর ED-র মামলাতেও জামিন পেয়েছেন অনুব্রত
অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০২২ সালের ১১ অগস্ট। বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ি থেকে CBI তাঁকে গ্রেফতার করেছিল গরু পাচার মামলায়। পরে, আর্থিক তছরূপের অভিযোগে ED তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই তিহার জেলে বন্দি ছিলেন অনুব্রত। দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ৯ দিন পর, ৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে CBI-এর মামলায় জামিন দেয়। কিন্তু ED-র মামলায় জামিন না হওয়ায় তাঁকে তখনও তিহার জেলেই থাকতে হয়। অবশেষে ১০ সেপ্টেম্বর, ইডির মামলায়ও দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত থেকে জামিন মেলে।
বীরের মতো সংবর্ধনা দেওয়া হবে অনুব্রত মণ্ডলকে
অনুব্রতর জামিনের খবরে তৃণমূলের একাংশ তাঁকে বীরের মতো সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কাজল শেখ বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি যদি বিজেপিতে থাকতেন, তবে গ্রেফতার হতেন না।” মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং দলের কোর কমিটির সদস্যরাও অনুব্রতর ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং জানান যে তাঁর ফিরে আসার পর সংগঠনের কাজ আগের মতোই চলবে। বীরভূমের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুব্রতর ফিরে আসায় বদলাবে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জল্পনা। তবে, তাঁর উপস্থিতি যে দলের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা আনবে, তা নিশ্চিত বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।