দুর্গাপুজোর আগেই কপাল খুলতে চলেছে পেনশন প্রাপকদের। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আপনিও যদি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে থাকেন এবং পেনশন প্রাপক হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। জানলে খুশি হবেন এবার সরকারের তরফে আপনার দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা অর্থাৎ বকেয়া পেনশনের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এদিকে সরকারের সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে চলেছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ।
এমনিতে যারা সরকারি চাকরি করেন তারা নানারকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন যার মধ্যে অন্যতম হলো বোনাস, মহার্ঘ ভাতা, বাড়ি ভাড়া ভাতা পেনশনসহ আরো অনেক কিছু। চলতি বছরেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ DA বৃদ্ধি হয়েছে। এতে করে উপকৃত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে পেনশন প্রাপকরা। তবে আরও এক দফায় মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির অপেক্ষায় রয়েছেন বহু মানুষ। তারই মাঝে এবার এই সরকারের তরফে বহু মানুষের পেনশনের বকেয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রীতিমতো সকলকে চমকে দিয়েছে।
বকেয়া পেনশন দেবে সরকার
রাজ্য সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এক ধাক্কায় ২৭ হাজার পেনশন প্রাপককে বকেয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন অর্থাৎ সবাইকে কিন্তু বকেয়া টাকাটা দেওয়া হবে না। বিশেষ কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে এই পেনশনের টাকা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী সাফ সাফ জানিয়েছেন যে রাজ্যে আপাতত কোনও আর্থিক সংকট নেই। প্রথম দিন থেকেই সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি পেনশন প্রাপকরা। আজ কথা হচ্ছে হিমাচল প্রদেশ নিয়ে।
বড় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
হিমাচল প্রদেশের সিমলায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেন, রাজ্যে কোনও অর্থনৈতিক সঙ্কট নেই। রাজ্যে আর্থিক বিপর্যয়ের কথা বলা হচ্ছে, যা একেবারেই ভুল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম দিন থেকেই তিনি ২০২৭ সালের মধ্যে হিমাচল প্রদেশকে একটি আত্মনির্ভর রাজ্য এবং ২০৩২ সালের মধ্যে দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার কথা বলছেন। তিনি বলেন, এ জন্য অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। বেতন-ভাতা বিলম্বিত করা অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের অংশ।
পেনশনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সত্তরোর্ধ্ব ২৭,০০০ পেনশনভোগীর বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরিয়ার টাকা দেওয়া হবে। যারা ডিএ প্রাপক তাদেরও সেই টাকা দেওয়া হবে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজ্যে কোনও অর্থনৈতিক সঙ্কট নেই। নিজেকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রতিটি বিভাগকে বুঝতে হবে যে আমাদের নিজেদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে।