নয়া দিল্লিঃ ভারত সম্প্রতি INS Arighaat সাবমেরিন থেকে মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে। এটি দেশের সামরিক বিভাগের দ্বিতীয় পারমাণবিক শক্তিচালিত ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন। এই মিসাইল ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞদের মতে এটি দেশের পরমাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। INS Arighaat হল ভারতের Arihant-শ্রেণীর সাবমেরিনগুলির দ্বিতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এটি সম্পূর্ণরূপে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এই সাবমেরিনটি সমুদ্র থেকে পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম।
তবে ভারতের এই দ্বিতীয় পারমাণবিক শক্তিচালিত ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন IINS Arighaat-এর সফল উৎক্ষেপণে খুশি নয় চিন। তারই প্রতিফলন পাওয়া গেল সম্প্রতি চিনা মিডিয়ায় প্রকাশিত কিছু খবরে। এইসব খবরে চিনের তরফে ভারতের এই পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন মিসাইলের উৎক্ষেপণের ঘটনাকে ‘ব্ল্যাকমেলিং’ বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও ভারতের তরফে এর যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে বলেই খবর।
কতটা ঘাতক INS Arighaat সাবমেরিন?
INS Arighat সাবমেরিনটির ওজন ৬০০০ টন। এটি জোড়া কনফিগারেশনে ৪ টি বা ৮ টি K-4 বা K-15 ব্যালিস্টিক মিসাইল বহন করতে সক্ষম। K-4 মিসাইলের রেঞ্জ প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার এবং K-15 মিসাইলের রেঞ্জ প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার। এটি ভারতের দ্বিতীয় সাবমেরিন, যা পারমাণবিক ট্রায়াডের অংশ হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ, এই সাবমেরিন মাটি হোক বা আকাশ কিংবা সমুদ্র – যেকোনো অবস্থান থেকে পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম।
ভারতের মিসাইল উৎক্ষেপণকে ভালো চোখে দেখছে না চিন
INS Arighaat সাবমেরিনের উৎক্ষেপণের পর চিনা মিডিয়া এটিকে ‘ব্ল্যাকমেলিং’- এর নিদর্শন হিসেবে দাবি করেছে। বিভিন্ন চিনা মিডিয়ার মতে, ভারতের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে চীনকে একটি বার্তা দেয়া। এটি চিনের দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। তাই তাঁরা বলেছে যে, ভারতের এই পদক্ষেপ চিন এবং পাকিস্তানের প্রতি একটি ব্ল্যাকমেলিং কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। চিন রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়া গ্লোবাল টাইমসের মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক নিরাপত্তা ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করতে পারে এবং পারমাণবিক প্রতিযোগিতা আরও তীব্র করতে পারে।
চিনকে যোগ্য জবাব দিল ভারত
ভারত সরকারের তরফে চিনা মিডিয়ার এই ধরনের মন্তব্যকে অস্বীকার করা হয়েছে। ভারতের সাফ দাবি, এটি শুধুমাত্র দেশের প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা জন্য তৈরি হয়েছে। ভারত সবসময়ই একটি দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তি হিসেবে কাজ করেছে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পক্ষে রয়েছে। INS Arighaat-এর উৎক্ষেপণ ভারতের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।