কয়েকদিন আগেই কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু, হানাহানি, সব মিলিয়ে অশান্ত হয়ে উঠেছিল ওপার বাংলা। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু একটা জিনিস কিন্তু থামেনি, আর সেটা হল সংখ্যালঘু তথা হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা কমেনি। একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীকে পদত্যাগ করতে রীতিমতো বাধ্য করা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে শেখা হাসিনা সরকারের অবসানের পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা যেন দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।
পদত্যাগ করলেন বহু শিক্ষক!
সম্প্রতি বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। আর এই রিপোর্ট দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে। রিপোর্টগুলিতে দাবি করা হচ্ছে যে গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ৪৯ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে । শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র সংগঠন ৷
অব্যাহত আন্দোলন
এমনিতে প্রায় প্রতিদিনই হিন্দুদের রক্ষার্থে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আন্দোলন করেই চলেছেন। সকলের একটাই দাবি, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার থামাতে হবে। এদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েক ডজন শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে এমন খবরের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তোপের মুখে পড়েছে। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটল।
শেখ হাসিনা দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের ওপর টার্গেট করা চাপ আরও জোরদার হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দল। দলের তরফে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের সঙ্গে এহেন দুর্দশা আগে কখনো দেখা যায়নি।’