সে আরজি কর-কাণ্ড হোক কিংবা জমায়েতে ঝামেলা পাকানো, সাম্প্রতিক সময়ে বারবার শিরোনামে উঠে আসছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। বর্তমানে এই সিভিকরাই যেন প্রশাসনের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বপ্রথমেই রয়েছে আরজি কর-কাণ্ড। ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জেলে রয়েছে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই। অন্যদিকে আবার কয়েকদিন আগেই সিঁথি মোড়ে প্রতিবাদী পড়ুয়াদের জমায়েতে ঝামেলা করার অভিযোগে কাঠগড়ায় রয়েছে এক সিভিক। আর এই নিয়েই এবার অস্বস্তিতে প্রশাসন। যে কারণে এবার এই সিভিকদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ।
সিভিকদের নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন
যত সময় এগোচ্ছে এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের অসাধু কর্মকাণ্ড প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশ থেকে শুরু করে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে ধৃত সঞ্জয় রাই মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে ঢুকেছিল। শুধু তাই নয়, সিঁথির মোড়ে হয়ে যাওয়া কয়েকদিন আগের বিক্ষোভ মিছিলে এক মদ্যপ সিভিক ভলান্টিয়ার তাণ্ডব চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। এহেন অবস্থায় ডিউটিরত থাকাকালীন মদ্যপ অবস্থায় কেউ যদি থাকে তাহলে সে আর রক্ষা পাবে না। কারণ এবার আরও কড়া হতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কলকাতা পুলিশ কী করতে চাইছে? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
সিভিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ
এবার সিভিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন এমন এক পদক্ষেপ নিতে চলেছে যারপরে সিভিকরা ডিউটিরত অবস্থায় মদ্যপান করার আগে দশবার ভাববে। এক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, অতীতে যে সব সিভিক ভলান্টিয়ার কর্তব্যরত অবস্থায় মদ্যপ থেকেছেন, বা যে সব সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়মিত মদ্যপান করে থাকেন, তাঁদের এবার ছেঁটে ফেলা হতে পারে। এমনকি কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যদি অভিযোগ জমা পড়ে তাহলে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব থাকবে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিকের কাঁধে। তদন্তে যদি সিভিক ভলান্টিয়ারকে দোষী হিসেবে পাওয়া যায় তাহলে তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে অবধি দেওয়া হবে বলে খবর।
গতকাল সকালেই বিটি রোড প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সিঁথি মোড় কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।