আজ রবিবার নতুন করে ফের বাংলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। দোসর নিম্নচাপ এবং মৌসুমী অক্ষরেখার দাপটে আজও কলকাতা শহর সহ বাংলার জেলায় জেলায় কখনো হালকা থেকে মাঝারি তো আবার কখনো বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে যে মাসের শুরু থেকেই ফের একবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমবে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে রোদের দাপট বাড়বে এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়ার পরিমানও বাড়বে। নতুন করে মানুষের কালঘাম ছুটবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনই মন খারাপ করার কিছু হয়নি, কারণ চলতি সপ্তাহেই ফের এবার সাগরে নতুন করে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস।
সাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা
হাওয়া অফিস ইঙ্গিত দিয়েছে, আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে যা পরবর্তী পর্যায়ে শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর দাপটে বাংলায় বৃষ্টি হলেও হতে পারে বলে খবর। এদিকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে সুষ্পষ্ট নিম্নচাপটি তৈরী হয়েছে সেটি বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপট্টনম থেকে দক্ষিণ ওড়িশার গোপালপুরের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করে ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানা রাজ্যের মধ্যে দিয়ে মহারাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী কয়েক ঘণ্টায় অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্যে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
আজ প্রথমেই আসা যাক কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া সে সম্পর্কে। জানা গিয়েছে, আজ রবিবার উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলি হল জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর। বাকি জেলাগুলিতে এদিন বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
এবার আসা যাক দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে সে ব্যাপারে। জানা গিয়েছে, আজ মৌসুমী অক্ষরেখার দাপটে উপকূলবর্তীয় এলাকায় কখনো হালকা তো কখনো মাঝারি পরিমানে বৃষ্টি হতে পারে। আজ যে যে জেলায় বৃষ্টি হবে সেগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। এদিকে নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল হয়েছে রয়েছে যে কারণে আপাতত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।