ট্রাক থেকে চুরি ১৬০০ iPhone! ১২ কোটির মোবাইল লোপাটের পরও অভিযোগ নিল না পুলিশ

Indiahood Desk

ট্রাক থেকে চুরি ১৬০০ iPhone! ১২ কোটির মোবাইল লোপাটের পরও অভিযোগ নিল না পুলিশ

বর্তমানে মোবাইলের বাজারে সবথেকে প্রিমিয়াম ও দামি মোবাইল হিসেবে বিবেচিত হয় Apple-এর iPhone। অনেকের জীবনে iPhone কেনার স্বপ্ন থাকে। তাই এই মোবাইল চুরির ঘটনা কেউ দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেন না। তবে এবার iPhone চুরির ঘটনা ঘটলো মধ্যপ্রদেশে। একটি নয়, একসঙ্গে ১,৬০০ টি iPhone চুরি গেল। জানা গিয়েছে, মোট ১২ কোটি টাকার মোবাইল চুরি হয়েছে। দুষ্কৃতীদের বড়সড় পরিকল্পনায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার বিবরণ জানলে আপনারও গা শিউরে উঠবে।

সাহসী ডাকাতির এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বন্দরী থানার অন্তর্গত লখনদন-ঝাঁসি হাইওয়েতে। দুষ্কৃতীরা একটি iPhone ভর্তি কন্টেনারের ড্রাইভারকে বেঁধে ১২ কোটি টাকার আইফোন চুরি করে চম্পট দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগে। আর এই ডাকাতির ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশি অবহেলার স্বীকার হতে হয়েছে ওই কন্টেনার চালককে। তাহলে চলুন এই বীভৎস ডাকাতির ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ড্রাইভারকে বেঁধে রেখে iPhone ডাকাতি

   

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডাকাত দলটি পরিকল্পিতভাবে ওই কন্টেনার ট্রাকে ওঠে এবং চালককে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। এরপর তাকে একটু দূরে বেঁধে রেখে আসে ডাকাতরা। এরপর তারা ট্রাক থেকে সম্পূর্ণ iPhone চালানটি সরিয়ে নেয়। চুরি হওয়া আইফোনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। সমস্ত মোবাইল লোপাট করার পর ওই কন্টেনার ড্রাইভারকে একটু দূরে বেঁধে রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। কিছু সময় পর ড্রাইভার নিজেকে বাঁধন-মুক্ত করতে সক্ষম হয় এবং পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানাতে যায় বন্দরী থানায়।

অভিযোগ না নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

প্রথমদিকে, ড্রাইভার যখন বন্দরী থানায় অভিযোগ জানাতে যায়, তখন পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে গুরুত্ব দেয়নি। তবে পরে ঘটনাটির খবর পৌঁছায় স্থানীয় আইজি প্রমোদ ভার্মার কাছে। তিনি তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং তদন্ত শুরু করেন। এদিকে অব্যবস্থার অভিযোগে বন্দরী থানার হেড কনস্টেবল রাজেশ পান্ডেকে সাসপেন্ড করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মোট ১,৬০০ আইফোন চুরি হয়েছে, যার আনুমানিক দাম ১২ কোটি টাকার মতো।

পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশি অবহেলার অভিযোগে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এবং তারা আরও দক্ষ ও সতর্কভাবে তদন্ত পরিচালনার দাবি জানাচ্ছেন।