নয়া দিল্লিঃ এখন দেশজুড়ে আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিভিন্ন রাজ্যের দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে এই তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার এক ভিনদেশী কোম্পানির দেশীয় শাখায় হানা দিলো ED। জানা গিয়েছে, দুবাইয়ের একটি বিখ্যাত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ভারতীয় ইউনিট Emaar India-কে টার্গেট করেছে ED। একইসঙ্গে Emaar India Limited এবং MGF Developments Limited-এর ৮৩৪.০৩ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি সংযুক্ত করেছে ED।
সূত্রের খবর, ভারত সরকারের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০২২-এর অধীনে Emaar India Limited এবং MGF Developments Limited-এর ৮৩৪.০৩ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি সংযুক্ত করেছে। ED-র তরফ থেকে তাঁদের নিজস্ব এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানি Emaar-এর ব্যবসা কত বড় এবং কোন কোন দেশে ছড়িয়ে আছে তা জানার জন্যই এই তদন্ত বলে জানিয়েছে ED।
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা তৈরি করেছিল এই সংস্থা
১৯৯৭ সালে মহম্মদ আলব্বার Emaar Properties নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। রিয়েল এস্টেটের পাশাপাশি এই সংস্থা শপিং মল এবং বিলাসবহুল হোটেলেও তৈরি করে। বলা বাহুল্য, দুবাইয়ের বিখ্যাত টাওয়ার বুর্জ খলিফা তৈরি করেছিল এই কোম্পানি। শুরুতে দুবাই সরকারের হাতে এই কোম্পানির ১০০ শতাংশ মালিকানা ছিল। তবে ২০০০ সালে IPO-র পর পাবলিক কোম্পানি হিসেবে এই সংস্থার ব্যবসা শুরু হয়। Emaar Properties হল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। বর্তমানে, এই কোম্পানির ভ্যালু প্রায় ৪৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একইসঙ্গে এই কোম্পানির বর্তমান নেট ভ্যালু প্রায় ২৩.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গিনিস বুকে নাম উঠেছে এই কোম্পানির
এই কোম্পানি এখন বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ছিল ২০১৫ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন ইভেন্ট। এই অনুষ্ঠান সেই সময়ে টিভিতে সবচেয়ে বেশি দেখা অনুষ্ঠানের তকমা অর্জন করে। সেই কারণে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এই শোয়ের নামও ওঠে।
আগেও তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে এই কোম্পানি
এই প্রথম নয়, এর আগেও Emaar India Limited আইনি কারণে ED-র নজরদারিতে চিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছ যে, দুবাইয়ের ইমার প্রপার্টিজের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইমার ইন্ডিয়া লিমিটেডের কিছু উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধদমন শাখায় একটি রিয়েল এস্টেট জালিয়াতিতে মামলা রুজু হয়েছে।