হাসনাবাদঃ বর্তমান সময়ে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য। শুধু বাংলা বললে ভুল হবে এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশবাসী থেকে শুরু করে বিদেশে থাকা প্রবাসী ভারতীয়রা। বাংলার নির্ভয়াকে বিচার পাইয়ে দিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, মিছিলে সামিল হয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। কিন্তু এসবের মাঝেই বাংলায় এমন এক ঘটনা ঘটল যাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলায় আবারও একবার আক্রান্ত হল পুলিশ, তাও কিনা ধর্ষণের অভিযুক্তের হাতে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
আক্রান্ত পুলিশ
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। ঘটনাস্থল হাসনাবাদ। এখানে এক ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পাল্টা মার খেতে হলে পুলিশ ইনচার্জ সহ ৯ জনকে। ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে গিয়ে অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীদের হাতে মার খেল পুলিশ কর্মীরা। না এটা কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। এহেন চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদ থানার খরমপুর এলাকায়।
ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সরগরম হাসনাবাদ
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার খরমপুর এলাকার এক মহিলা এলাকারই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। ওই মহিলা অভিযোগ নিয়ে হাসনাবাদ থানার অন্তর্গত মুরারিশা আউটপোস্টে হাজির হন। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। গভীর রাতে খরমপুর এলাকায় ওই অভিযুক্তর বাড়িতে তদন্তে যান পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে এক বিপত্তি ঘটবে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ জেলের খাবারে অরুচি, চাইনিজ ফুড খেতে চাইছে সঞ্জয় রায়! আবদারের তালিকায় কী কী?
অভিযোগ, ধর্ষণে অভিযুক্ত এবং তার সঙ্গীরা ভয় পাওয়া তো দূরের কথা, উলটে পুলিশকে ঘিরে ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আর এই ঘটনায় গুরুতর আহন হন মুরারিশাহা আউটপোস্টের ইনচার্জ-সহ মোট ৯ জন পুলিশ কর্মী । তাঁদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এদিকে এই ঘটনায় কিন্তু চুপ করে বসে থাকে না পুলিশ। শনিবার ভোরবেলা খরমপুর এলাকা থেকে দুজন আবদুল রহমান তরফদার ও লুৎফর তরফদার গ্রেপ্তার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধরের মতো অভিযোগ রয়েছে। যদিও রাকেশ শেখ যে কিনা মূল অভিযুক্ত সে পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর। আজ সকলকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে খবর।