হলদিয়াঃ এমন কোনও এলাকা নেই যেখানে পুকুর নেই। শহর হোক কিংবা গ্রাম, সব জায়গাতেই কমবেশি পুকুরের দেখা মেলে। কিন্তু তেলে ভর্তি পুকুর দেখেছেন বা সম্পর্কে শুনেছেন? কিন্তু এমনই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে বাংলায়। বাংলার এক জেলায় তেলের পুকুরের সন্ধান মিলেছে। এদিকে এই তেলে ভর্তি পুকুরের খবর চারিদিকে চাউর হতেই সেই তেল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ায়।
ভোজ্য তেলে ভরে গেল পুকুর!
আসলে বুধবার বিকেলে ইমামি এগ্রোটেক লিমিটেডের পাইপলাইন লিকেজ হয়ে জলাশয়ে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়া পুরসভার আওতাধীন এলাকায়। এদিকে বিদ্যুতের গতিতে এই তেল ভর্তি পুকুরের খবর সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারা ছড়িয়ে পড়া তেল সংগ্রহ করতে জলাশয়ে ছুটে যায়। হাতের কাছে যা ছিল তা নিয়ে ভোজ্য তেল সংগ্রহ করতে তেল ভর্তি পুকুরে ঝাঁপ মারেন এবং তা তুলতে থাকেন। অপরিশোধিত ভোজ্যতেল মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভাইরাল ভিডিও
ইতিমধ্যে এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়া পুরসভার চিরঞ্জীবপুর এলাকায়। স্থানীয়রা পাইপলাইনটি ফুটো হয়ে গেছে জানতে পেরে তারা অপরিশোধিত তেল সংগ্রহের জন্য পাত্র নিয়ে জলাশয়ের ছুটে যায়। তবে এখানে একটি বিষয় বলে রাখা উচিত যে অপরিশোধিত ভোজ্য তেল খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়। আগে এটিকে কারখানায় বৈজ্ঞানিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা প্রয়োজন। অপরিশোধিত তেলের ব্যবহার স্বাস্থ্যের মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ এতে ভারী ধাতু এবং দ্রবণীয় পদার্থ রয়েছে যা মানুষের জন্য মারাত্মক হতে পারে। আর এই নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে।
একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, অপরিশোধিত ভোজ্য তেল বিষের সমান। এটি আপনার লিভারের ক্ষতি করতে পারে। যারা তেল সংগ্রহ করেছেন তাদের চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা জানানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বিভাস রায় বলেন, “অপরিশোধিত ভোজ্য তেল শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। আক্রান্ত এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কেউ অপরিশোধিত তেল খেয়েছেন কিনা এবং কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া অনুভব করেছেন কিনা বা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য তাদের বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”