কলকাতাঃ গত বছর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ছিল ডার্বি ম্যাচ। সেই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান মুখোমুখি হয়েছিল। আর সেই ফাইনাল ডার্বিতে লাল-হলুদকে হারিয়ে খেতাব জয় করেছিল সবুজ-মেরুন দল। এ বছর ডুরান্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল যেতে না পারলেও মোহনবাগান ফের খেতাবি লড়াইয়ে নামছে। এবার ডার্বি না হলেও প্রতিপক্ষ খুব একটা সহজ নয়। কারণ এবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে জন আব্রাহামের ফল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি হচ্ছে বাগান। ঘরের মাঠে এই ম্যাচ হলেও খেলোয়াড়দের চোটের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত মোহনবাগানের কোচ মোলিনা।
মঙ্গলবার সেমিফাইনালে ব্যাঙ্গালুরু এফসি দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে মোহনবাগান। তবে এই ম্যাচে সবুজ মেরুন দলকে ভুগিয়েছে তাঁদের ডিফেন্স। ম্যাচের প্রথমার্ধে একজোড়া গোল খেতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। যদিও পরের অর্ধে গোল শোধ করে শেষমেষ ট্রাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় সবুজ মেরুন ক্লাবের ছেলেরা। অজি তারকা ম্যাকলারেনের চোট নিয়ে দলকে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে দলের আরো কিছু ফুটবলারের চোট চিন্তায় ফেলেছে বাগান শিবিরকে।
শুভাশিস বসুর চোট নিয়ে চিন্তায় মোহনবাগান
মঙ্গলবারের সেমিফাইনাল ম্যাচে ফলের ডিফেন্স লাইন সামলানোর কাজে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসুকে। ব্যাঙ্গালুরু এফসি দলের স্ট্রাইকারদের অনেক বলই তিনি গোলপোস্টের আগেই আটকে দিচ্ছিলেন। ম্যাচের শুরু থেকেই চনমনে হয়ে ফুটবল খেলছিলেন তিনি। তবে ম্যাচের মাঝেই ক্র্যাম্প অনুভব করার কারণে মাঠ ছেড়ে উঠে যেতে হয় শুভাশিস বসুকে। সেই কারণে ফাইনাল ম্যাচে তাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল সংশয়।
ফাইনাল ম্যাচে খেলবেন শুভাশিস বসু?
এমনিতেই ডিফেন্স নিয়ে চিন্তায় ছিল মোহনবাগান। তার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায় শুভাশিস বসুর চোট পাওয়া। তবে বাগান শিবির সূত্রে জানা গেছে, এখন চোট সরিয়ে উঠেছেন শুভাশিস বসু। বৃহস্পতিবার তাঁকে দলের সঙ্গে অনুশীলন করতেও দেখা যায়। এদিন সেটপিস ও সিচুয়েশনশিপের প্র্যাকটিসে বেশি মনোযোগী হতে দেখা যায় মোহনবাগান অধিনায়ককে। ক্লাব সূত্রে খবর, শনিবার ফাইনালে তাঁকে পুরোদমে খেলতে দেখা যাবে। আর এটাই খুশির খবর সবুজ-মেরুন সমর্থকদের জন্য।