কলকাতাঃ পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড হল একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ স্কিম। এই স্কীমটি ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। মূলত ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য এই স্কিমটি দারুণ লাভজনক। কারণ, এই স্কিমে যে কেউ নিরাপদে বিনিয়োগ করে ভালো হারে সুদ পেতে পারেন। এছাড়াও এই স্কিমের আরো নানা সুবিধা রয়েছে। সেসবের মধ্যে অন্যতম হল কর ছাড়ের ব্যবস্থা। অর্থাৎ, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে যদি কেই বিনিয়োগ তাহলে তিনি আয়কর ছাড় সহ এই সংক্রান্ত বিভিন্ন সুবিধা পাবেন খুব সহজেই। বিনিয়োগকারী আয়কর আইনের 80C ধারা অনুযায়ী বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন।
মোটকথা, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড হল ভারত সরকারের অধীনস্থ এমন একটি স্কিম, যেখানে আপনি কোনোরকম মার্কেট রিস্ক ছাড়াই বিনিয়োগ করতে পারবেন। পাশাপাশি, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে প্রাপ্ত সুদ যদি পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে সেটি ভবিষ্যতে বেশি লাভজনক হতে পারে। এছাড়াও এই স্কিম থেকে লোন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মেয়াদপূর্তির আগে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা লোন হিসেবে নেওয়া যায়। এইসব কারণে মধ্যবিত্তদের জন্য এই স্কিমটি দারুণ লাভজনক।
পাবলিক প্রভিডেন্ট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
(১) সুদের হার: PPF-এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারী কত হারে সুদ পাবেন, তা ঠিক করে ভারত সরকার। প্রতি ত্রৈমাসিকে সুদের হার পর্যালোচনা করা হয়। ২০২৩ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের জন্য PPF-এর সুদের হার ছিল ৭.১ শতাংশ। এই সুদ মূলধনের উপর সরাসরি যোগ হয় এবং এটি বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হিসেবে গণনা করা হয়।
(২) বিনিয়োগের সীমা: PPF-এ একজন বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা বার্ষিক বিনিয়োগ করতে পারেন। বিনিয়োগ মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক যেকোনো উপায়ে করা যেতে পারে।
(৩) মেয়াদ: PPF-এর মেয়াদ ১৫ বছর। মেয়াদপূর্তির পর, বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ টাকা তুলে নিতে পারেন। আবার বিনিয়োগকারী চাইলে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতেও পারেন। মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে, বিনিয়োগকারীকে অতিরিক্ত ৫ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ করা অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রতিদিন ২৫০ টাকা জমিয়ে ১০ লক্ষ টাকার সুদ
আপনি যদি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি মাসে ৭,৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে সেই অনুযায়ী আপনাকে প্রতিদিন ২৫০ টাকা জমাতে হবে। এইভাবে বছরে আপনার জমা হবে ৯০,০০০ টাকা। একইভাবে, আপনাকে ১৫ বছরের জন্য আপনি যদি টাকা জমান, তাহলে PPF ক্যালকুলেটর অনুযায়ী ১৫ বছরে আপনার বিনিয়োগ হবে ১৩,৫০,০০০ টাকা হবে। এর উপর আপনি ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনি ১৫ বছর মোট ২৪,৪০,৯২৬ টাকা পাবেন। যার মধ্যে ১০,৯০,৯২৬ টাকা সুদ হিসাবে পাবেন।