কলকাতাঃ তিলোত্তমা কাণ্ডে বাংলার মানুষ আজকাল অতিমানবিকভাবে প্রতিরোধমূলক হয়ে উঠেছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজে কর্মরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করার খবরে গোটা রাজ্য উত্তাল। এই অশান্ত পরিবেশে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলেবরা সকলেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের একটাই দাবি, ‘তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চাই’। ঘটনাটি ঘটার পর বেশ কয়েকটি দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও ন্যায়বিচার না হওয়ায় সাধারণ জনতার ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই কলকাতা পুলিশের একটি ছবির কারণে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, যা সম্ভবত কারো ভাবনাতেও ছিল না।
ছবিটি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত
সামাজিক মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বাসের কন্ডাক্টার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাকে টাকা দিচ্ছে। এই চিত্রটি সামনে আসতেই প্রচুর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে নানা মিথ্যা তথ্য ও রহস্য ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পুলিশ যদিও দাবি করেছে যে, তারা জরিমানা নিচ্ছিল, কিন্তু ছবির প্রেক্ষাপট এবং এর দ্রুত পোস্ট মুছে ফেলা জনত্বর মধ্যে আরও অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছে।
উপস্থিতি ও তথ্য
জরিমানার দাবি
১ সেপ্টেম্বর, পুলিশ দিবস উপলক্ষে কলকাতা পুলিশের এক সদস্যের এ ধরনের কার্যকলাপ সমাজে প্রচুর সমালোচনা উৎপন্ন করেছে। অভিযোগ উঠেছে যে এটি তোলাবাজির চিত্র। পুলিশের দাবি, তারা কাল্পনিক জরিমানা আদায়ের চেষ্টা করছিল, তবে ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তি থেকেই যাচ্ছে।
ফেক ছবি বা সত্য?
২৫ আগস্টের এ ঘটনাটি যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল, এরপর কলকাতা পুলিশের তরফে যখন জানানো হয় যে এটি ২০২৩ সালের এবং ঘটনাস্থল বেহালা, তখন প্রশ্ন উঠেছে তাদের সত্যতা নিয়ে।
পুলিশের অস্বস্তির কারণ
আরজি কর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণের ঘটনা ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মদ্যপ অবস্থায় বিক্ষোভের ঘটনা এসবের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি তীব্র অসন্তোষ রয়েছে, যা আবারও পুলিশকে চাপে ফেলে দিচ্ছে।
সংকট সুস্পষ্ট হচ্ছে
শুধুমাত্র আরজি কর-কাণ্ড নয়, বরং এর ফলস্বরূপ ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য মহানগরীর কর্তৃপক্ষের উত্তাপ্ত পরিস্থিতি বাড়ছে। এদিকে, সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আসায় তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নেওয়ার দাবিও উঠছে। পুরো কলকাতাবাসী এই ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে একত্রিত হচ্ছেন।
সমাজের আঙ্গিনায় পরিবর্তনের দাবি
এখন প্রশ্ন উঠছে, সমাজের উচিত কি না উন্নত স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার জন্য সঠিক পরিবর্তনের সূচনা করা? পুলিশ এবং সমাজের গ্রহণযোগ্যতা পুনঃস্থাপন করতে হলে ন্যায়বিচারের ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সবার মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।