এবার লাউডস্পিকার বিতর্কে নিয়া পদক্ষেপ বুলডোজার বাবার, চরম হুঁশিয়ারি যোগী আদিত্যনাথের

লখনউঃ ভারত জুড়ে আজান বিতর্ক যেন থামবার নামই নিচ্ছেনা। সারা নেটমাধ্যম যেন মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসেছে। শুরু হয় মহারাষ্ট্র রাজ ঠাকরের বক্তব্য দিয়ে, এরপর জুড়তে থাকে কর্নাটক রাজস্থান মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্য। এবার সেইখানে নিয়া সংযোজন যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। বিতর্কের মধ্যেই বড়সড় সিদ্ধান্ত প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের।

১০ এপ্রিল রাম নবমীর দিন ভারতের বহু রাজ্যেই শোভাযাত্রার উপর হামলা হয়। একাধিক রাজ্যে ঘটে পাথর ছোড়ার ঘটনা। দাঙ্গাবাজদের ঘটানো অশান্তির ঘটনায় উত্তপ্ত হয় সারা দেশ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ যেন এর ব্যতিক্রম। ভোটে নতুন করে জিতে ফেরার আগে এক সাক্ষাৎকারে যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন যে, তিনি মে-জুনের গরমেও পুরো উত্তরপ্রদেশকে একদম সিমলার মত ঠাণ্ডা করে দেন। এ যেন তারই প্রতিচ্ছবি।

একসময়ের অপরাধিদের স্বর্গরাজ্য উত্তরপ্রদেশে বর্তমানে অপরাধীরা জোরে নি:শ্বাস নিতেও ভয় পাচ্ছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজের মুখেই বলেন যে সারা রাজ্যে কোথাও দাঙ্গা তো দুর কোথাও একটি অশান্তির ঘটনাও ঘটেনি। তার সরকার যে শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর সে ব্যাপারেও দাঙ্গাকারীদের সতর্ক করেছেন তিনি। তবে এবার ধর্মীয় উন্মাদনায় রাশ টানতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ। এই বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত যোগী প্রশাসনের।

আদিত্যনাথ তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছেন যে, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আয়োজন করা যাবে না কোনও ধর্মীয় শোভাযাত্রার। এর পাশাপাশি এও বলা হয়েছে যে যদি কোনো ধর্মীয় স্থানে লাউস্পিকার ব্য খার করা হয় তা যেন সীমাবদ্ধ থাকে ওই এলাকাটুকুর মধ্যেই। ওই আওয়াজ যাতে আশেপাশের অন্য ধর্মের মানুষকে কোনোভাবেই বিরক্ত না করে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন যে, অন্য ধর্মের মানুষদের যাতে কোনোভাবেই সমস্যা না করে।